জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কে দফায় দফায় গাড়ি চলাচল বন্ধ, জনভোগান্তি চরমে

9

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কে দফায় দফায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রী-জনতা। যা কোন অবস্থায় মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
গাড়ি চালক সহ স্থানীয়রা জানান, ১২ মার্চ শনিবার জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের মিয়ার বাজার এলাকায় ভাঙ্গাচোরা সড়কে মালবাহী ট্রাক ধেবে যায়। সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে কয়েক দফা ট্রাক ধেবে যাওয়ার কারণে অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বাড়তে থাকে যানজটে আটকে পড়া গাড়ি ও গাড়িতে থাকা ভূক্তভোগী মানুষের সংখ্যা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী-জনতা। সকালে একবার ট্রাক ধেবে গেলে প্রায় ২ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হলে আবারো গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুপুরে ও বিকেলে একই অবস্থা হয়। সন্ধ্যা থেকে আবারো গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আবার যদি ট্রাক ধেবে গিয়ে যানজট লেগে যায়, এমন আশঙ্কায় শঙ্কিত মানুষ।
জানা গেছে, বিগত ২০২০ সালে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের সংস্কার শুরু হয়। এর মধ্যে জগন্নাথপুর থেকে কেউনবাড়ি বাজার পর্যন্ত জগন্নাথপুর উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ পান। কেউনবাড়ি থেকে বিশ্বনাথ পর্যন্ত বাকি কাজ পান বিশ্বনাথ কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের দিক-নির্দেশনায় ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ারের নিয়মিত তদারকিতে দ্রুত এগিয়ে চলে জগন্নাথপুর অংশের কাজ। ফলে মাত্র এক বছরের মধ্যে জগন্নাথপুর অংশের কাজ শেষ হয়ে গত এক বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ একই সাথের বিশ্বনাথ অংশের কাজ আজও শেষ হয়নি। যে কারণে মানুষ দফায় দফায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জগন্নাথপুর অংশের কাজ শেষ হলেও ভোগান্তি যেন জগন্নাথপুরবাসীর পিছু ছাড়তে চাইছে না।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহ নিজামুল করিম ও শ্রমিক সমিতির সভাপতি রব্বানী মিয়া জানান, বর্তমানে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের জগন্নাথপুর অংশের সড়ক ভালো হলেও বিশ্বনাথ অংশের অবস্থা খুবই বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কে একেবারেই ধীরগতিতে চলছে কাজ। যে কারণে ভাঙ্গাচোরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে মালবাহী ট্রাক ধেবে গিয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মাত্র এক দিনে কয়েক দফা যানজটের কারণে মানুষকে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। তাই জনভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার জানান, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক গুণগতমান বজায় রেখে কাজ শেষ করায় প্রায় এক বছর ধরে জগন্নাথপুরবাসী সুফল ভোগ করছেন। এদিকে-বারবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সাইদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।