স্টাফ রিপোর্টার :
‘টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ প্রতিপাদ্য শ্লোগানে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সিলেট জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ও বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় দিবসটি পালনে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল মানববন্ধন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণ ও মহিলা সমিতির মধ্যে অনুদান বিতরণী অনুষ্ঠান, পথনাট্য প্রদর্শন এবং অনলাইন ব্যবসা বিষয়ক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন।
গতকাল সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে জেলা পরিষদের সম্মুখের রাস্তা থেকে মানববন্ধনের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। সকাল ১০টায় জেলা পরিষদের হলরুমে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় এমসি কলেজ এবং রানার্সআপ সিলেট মহিলা কলেজ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাবিদ তাহমিনা ইসলাম।
এসময় আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মায়ের প্রচেষ্টায় সন্তান এবং স্ত্রীর সহযোগিতায় স্বামী সফলতা অর্জন করে। বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে সর্বদা প্রেরণা দিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের নারীদের ভূমিকা আছে। ঘুমিয়ে নয়, জাগ্রত হয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে। কেউ জায়গা ছেড়ে দিবে না। নিজের জায়গা নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১০/২০ বছরে নারীদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। নারীদের বর্তমান অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ়। সেটিকে ধরে রাখা আমাদের সবার প্রয়োজন। পুরুষের প্রতিটি কাজের পেছনে নারীরা যে শক্তি দেন, তা সম্মানের ও স্মরণীয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চাইল্ড রাইটস ফ্যাসিলিটেটর প্রিয়াংকা দাস রায়ের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাজনীন হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক ও সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায় প্রমূখ।
সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউএসডি উজ্জীবন প্রকল্প এবং শায়েস্তাগঞ্জ থিয়েটারের দিকনির্দেশনায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক পথনাট্য প্রদর্শন করা হয়।
ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের অবস এন্ড গাইনী বিভাগ : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবস এন্ড গাইনী বিভাগের আয়োজনে ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিটিক্যাস লিমিটেড এর সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকাল ১১টায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে র্যালিটি বের হয়ে মেডিকেল এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতালের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ডাঃ ময়নুল হক, প্রফেসর ডা: শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, প্রফেসর ডা: নাসরীন আক্তার, হেলথ কেয়ারের সেলস ম্যানেজার ফেরদৌস আলী, জোনাল ম্যানেজার মো: আতাউর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার পরেশ চন্দ্র দাস, রিজিওনাল ম্যানেজার মোঃ জায়েদুল ইসলাম, মোঃ আব্দুস ছাত্তার মোল্লা।
র্যালি শেষে দুপুর ১২টায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে হাসপাতালের ২য় তলায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস এন্ড গাইনী বিভাগের প্রফেসর ডা: নাসরীন আক্তারের সভাপতিত্বে ও ডা: ইবানা বেগমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ডা: শিশির রঞ্জন চক্রবতী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডি ডি ডাঃ আব্দুল গাফফার, এডি প্রশাসন ডা: আবুল কালাম আজাদ, এডি অর্থ ডা: মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল : বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে “আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২” উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল নারী চিকিৎসকবৃন্দের অর্থায়নে হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগত সকল রোগীদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বেলুন উড়ানো, কেক কাটা এবং সংক্ষিপ্ত র্যালী।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ এ.কে.এম. দাউদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ তারেক আজাদ। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন কলেজের সাংস্কৃতিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ শামীমা আখতার। এছাড়াও আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২২ এর অনুষ্ঠান সমূহে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সর্বস্তরের শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ।
মৌলভীবাজারে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি : ‘এ লড়াই নারীমুক্তির লক্ষ্যে নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির উদ্যোগে ১১২-তম আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও সংগঠনের ২৮-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। এ উপলক্ষে ৮ মার্চ সকালে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে এসে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির আহবায়ক দেলোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি শহীদ সাগ্নিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস ও ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৩০৫ এর সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ ২৪৫৩ এর সভাপতি মোঃ সোহেল মিয়া, মৌলভীবাজার হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়া, চা-শ্রমিক সংঘের নারী সদস্য তুলসামা নাইড়ু, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আম্বিয়া বেগম, সদস্য হাসনা বেগম, জয়তুন বেগম, বিরজা বেগম, শ্রমিকনেতা শাহজাহান আলী, মোঃ গিয়াসউদ্দিন ও সন্যাসী নাইড়ু প্রমুখ।
সিকৃবি : টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ উপলক্ষে ৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকসাইড থেকে শুরু হয় একটি শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, নারী সহকর্মীদের সামনে রেখে শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। এ সময় রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সামছুজ্জামান, নব নির্বাচিত দুই সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা ও প্রফেসর ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলাম, ডিনবৃন্দ ও দপ্তর প্রধানবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বত:স্ফূর্তভাবে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ছাত্রী ও ছাত্ররা অংশ নিয়েছে। শোভাযাত্রা শেষে একটি কেক কাটা হয়। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকসহ উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশীদারি এবং সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হলো।
বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার সিলেট বিভাগীয় শাখা : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি সিলেট বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) নয়াসড়কস্থ সিলেট বিভাগীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে বিকাল ৩টায় কেক কাটার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে নগরীতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলারোডস্থ মহিলা অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর নয়াসড়কস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মিনারা বেগম এর সভাপতিত্বে ও রেশমা শারমিন বিথির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নুরুন নাহার বেবী, ফরিদা আলম, সোহানা রহমান চৌধুরী, শান্তা কামালী, মমতাজ বেগম, জান্নতুল রেশমা, ইলাওজা, লিপা চামঙ্গ প্রমুখ।
জাতীয় মহিলা সংস্থা সিলেট : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় মহিলা সংস্থা সিলেটের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় নগরীর উপশহরস্থ জাতীয় মহিলা সংস্থার কম্পিউটার ট্রেনিং কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের কথা চিন্তা করে বলেই তাদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী বান্ধব। তাই, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সব জায়গায় নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে নারী জাগরণের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। প্রশাসন বলেন আর সাধারণ সার্ভিস বলেন সর্বক্ষেত্রে নারীর সরব উপস্থিতি নারী দিবসের সার্থকতার জানান দেয়।
জাতীয় মহিলা সংস্থার সিলেটের চেয়ারম্যান হেলেন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রোগ্রামার সুজিদ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিক্ষিকা মিনা আহমেদ, শিক্ষিকা শিউলী রহমান, সরকারি কর্মকর্তা মিতা জাবির, সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জাতীয় মহিলা সংস্থার সদস্য আলহাজ্ব সালমা বাছিত, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালমা বেগম, সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য রোকসানা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার মাঠ সমন্বয়কারী মো: আব্দুল লতিফ, কম্পিউটার প্রশিক্ষক মো: মহিন উদ্দিন, সেলাই এন্ড এমব্রডায়েরী প্রশিক্ষক সুফিয়া বেগম প্রমুখ।
ইউসেপ সিলেট রিজিয়ন : ইউসেপ সিলেট রিজিয়নের তিনটি স্কুলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। র্যালি, আলোচনাসভা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
‘টেকসই আগামীর জন্য জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ প্রতিপাদ্যে সারাদেশের ন্যায় ইউসেপ সিলেট রিজিয়নের আওতাধীন ইউসেপ ঘাসিটুলা টেকনিক্যাল স্কুল, কিক ইউসেপ সোলায়মান চৌধুরী বালুচর টেকনিক্যাল স্কুল, ইউসেপ হাফিজ মজুমদার সিলেট টিভিইটি ইন্সটিটিউটে বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউসেপ হাফিজ মজুমদার সিলেট টিভিইটি ইন্সটিটিউট আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক তুলসী রানি সাহা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোছা. শিরীন আক্তার। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ হাফিজ মজুমদার সিলেট টিভিইটি ইন্সটিটিউট প্রধান প্রবীর কুমার পাল।
অনুষ্ঠান আলোচনাসভা শেষে প্রতিষ্ঠানটির ৫৮৭জন শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে ইন্সটিটিউটের শিক্ষক মন্ডলিও উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট জেলা নারী মুক্তি কেন্দ্র : আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার উদ্যোগে মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকাল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার সংগঠক ইশরাত রাহি রিসতার সভাপতিত্বে এবং লক্ষ্মী পাল এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্বয়ক কমরেড সুশান্ত সিনহা সুমন, নারীনেত্রী মিতা সিং, তিনু দত্ত প্রমুখ।
মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তারা সারা বিশ্বের নারীরা আজও বৈষম্য, নিপীড়ন এবং পুরুষতান্ত্রিক ব্যাবস্থার নির্মমতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ। আমাদের দেশে চা-বাগান গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন শ্রমসেক্টরে নারীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্য ও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে। ২০২১ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩২১জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৪৭ জনকে। সাম্প্রতিক সময়ে বশেমুরবিপ্রবি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীরা লাঞ্ছনা ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এই সভ্য সমাজে নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচার পরিবেশ তৈরি হয়নি। বক্তারা বলেন এমন পরিস্থিতিতে নারীমুক্তির প্রশ্নটি একটি শোষণ বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বক্তারা শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশের নারীসমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।