কাজিরবাজার ডেস্ক :
সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসী আওয়ামী লীগের চেয়ে দ্বিগুণ সংখ্যায় জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ১৩৪ ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৮৬টি ইউপিতে জয়ী হয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জিতেছেন ৪০টি ইউপির চেয়ারম্যান পদে। এর মধ্যে ১১টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সংখ্যা বাদ দিলে মাত্র ২৯টি ইউপিতে ভোট করে নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন।
এ ধাপে ৩টি ইউপিতে জাতীয় পার্টি-জাপা একটিতে জাতীয় পার্টি-জেপি’র প্রার্থীরা জিতেছেন। এছাড়া ৪টি ইউপির ফল স্থগিত রয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন থেকে সপ্তম ধাপের সমন্বিত ফল প্রকাশ করা হয়।
এ ধাপে কত শতাংশ ভোট পড়েছে ইসি তা সমন্বয় করেনি। তবে ইউপিভিত্তিক ফল পর্যালোচনা করে এই ধাপে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউপিতে। এই ইউপিতে ভোট পড়েছে ৯১.৪১%। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী জিহাদ ম-ল ১৫ হাজার ৫৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মুক্তার হোসেন ম-ল পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২ ভোট। এই ইউপিতে ২৩ হাজার ৫৭৪ ভোটারের মধ্যে ১৫ হাজার ৫৮৮ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অপরদিকে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী ইউপিতে। এখানে ভোটের হার ৫৫.৬৪%। এই ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ ৫ হাজার ৪২০ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ২১৬ ভোট। এই ইউপিতে ২৬ হাজার ২৮ ভোটের মধ্যে ১৪ হাজার ৪৮৩ ভোট কাস্ট হয়।