স্টাফ রিপোর্টার :
৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অংশ হিসেবে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (জামায়াত নেতা) মামুন খান। শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯টি কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি ৪৮১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকে জবরুল ইসলাম জগলু ভোট পেয়েছেন ৪০৮০ ভোট।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে এক টানা শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। প্রাথমিকভাবে মামুন খানের বিজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ও কামালবাজার ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও শেষ মুহূর্তে এসে বন্ধ হয়ে যায় ভোট গ্রহণ। উচ্চ আদালতের আপীল বিভাগের চেম্বার জজের নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে এসে না পৌঁছানোর কারণে মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা।
৩১ জানুয়ারি সকালে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সম্বলিত নির্বাচন কমিশনের চিঠি এসে পৌঁছালে ৫ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তা তানিজদা আফরিন চন্দা। তিনি বলেন, শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারি মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সীমানা বর্ধিত করে প্রকাশিত গেজেটে মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের অল্প কিছু অংশ পড়ে। মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনভুক্ত এলাকার বাসিন্দারা ভোট প্রদান করবেন কি না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এর প্রেক্ষিতে ওই এলাকার দুই বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারী বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ ২ মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। তবে হাইকোর্টের আদেশে ইউনিয়ন নির্বাচনের গণবিজ্ঞপ্তির স্মারক নম্বর ভুল থাকায় স্থগিতাদেশের বিষয়টি কার্যকর হয়নি। পরে স্মারক নম্বর সংশোধন করে আবেদন করলে আদালত পরবর্তীতে স্থগিতাদেশের আদেশ প্রদান করেন।
এদিকে হাইকোর্টের উক্ত নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে একটি ‘সিভিল পিটিশন ফর লীভ টু আপীল’ দায়ের করা হয়। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আপীল বিভাগ আগের দেয়া আদেশের উপর ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। একই সাথে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করেন। উচ্চ আদালতের কপি সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌছালেও নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা না আসায় ৩১ জানুয়ারি মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। এরপর ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা আসায় ৫ ফেব্রুয়ারি মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিজদা আফরিন চন্দা।