শাবির অচলাবস্থা এখনো কাটেনি, চলছে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে প্রদর্শনী

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটেনি। মঙ্গলবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় প্রহর কাটিয়েছেন। এদিকে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের পাশে ‘আলোকচিত্রে এক দফা’ ব্যানারে আন্দোলনের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের দ্বারা ‘ক্যামেরাবন্দী’ করা ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। তারা বলেন, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ‘আলোকচিত্র এক দফা’ উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনের অংশ। এর মাধ্যমে আমরা তুলে ধরেছি শিক্ষার্থীদের প্রতি তার স্বৈরাচারী মনোভাব, তার নৃশংসতা। শিক্ষার্থীদের ওপর তার এই নৃশংসতার পর, আমরা বুঝাতে চাই সে এ ক্যাম্পাসে থাকার যোগ্য না।
আন্দোলনের শুরু থেকে নিয়ে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের দ্বারা ‘ক্যামেরাবন্দী’ করা ছবিগুলো প্রদর্শন করা হয়েছে। দেড়শের অধিক ছবি আমাদের ব্যানারে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলা হয়। পুলিশী হামলার পর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন, এক পর্যায়ে তারা আমরণ অনশনে যান।
চলছে দাফতরিক কাজ, কার্যালয়ে নেই উপাচার্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে দাফতরিক কার্যক্রম চালু হয়েছে। কিন্তু একাডেমিক কার্যক্রমের ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। দাফতরিক কাজ চালু হলেও উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি। গত ১৬ জানুয়ারি অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধারের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে ৩০ থেকে ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সময় পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করে বাসভবনে নিয়ে যায়। ওইদিন রাতেই সিন্ডিকেটের জরুরী মিটিং ডাকেন উপাচার্য। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরেরদিন দুপুর ১২টার আগে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাফতরিক কাজ চলবে বলে ওইদিন মিটিং শেষে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।