স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনে ৪ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি ও ১০ শিক্ষার্থীর শরীরে স্যালাইন দিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা টানা ৭ দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের আন্দোলন।
সূত্র জানায়, প্রথমে তাদের দাবি ছিলো একটি হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের। কিন্তু সর্বশেষ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবি পর্যন্ত এসে ঠেকে শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন। সেই দাবিতে বুধবার ১৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে আমরণ অনশনে যায় ২৪ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই ২৪ জন আছেন মুখে কিছু না দিয়ে। টানা অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই ২৪ জনের মধ্য থেকে ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ১০ জনের শরীরে অনশনস্থলেই স্যালাইন পুশ করা হয়েছে। অনশনস্থলে যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা শারীরিক দুর্বলতায় ওঠে বসতে পারছেন না।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কাজল দাস নামের এক শিক্ষার্থীকে নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে অনশন করে আসছিলেন তিনি। প্রায় ২১ ঘন্টা না খাওয়া ও তীব্র শীতের কারণে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে তার।
এর আগে বুধবার রাতে বাংলা বিভাগের মোজাম্মেল হক ও সমাজকর্ম বিভাগের দীপান্বিতা বৃষ্টি নামের দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া মরিয়ম নামের এক ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিশাত নামের আরেক শিক্ষার্থীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই অসুস্থ ৫ জনের মধ্য থেকে বর্তমানে ৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর একজন বাবার অসুস্থতাজনিত কারণে বাসায় ফিরেছেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব। কোনো প্রতিবন্ধকতাই আমাদের টলাতে পারবে না। শুধু ওয়াশ রুমের প্রয়োজন ছাড়া আমরা এই জায়গা থেকে উঠছি না। কোনো ধরনের খাবারও গ্রহণ করছি না।
সিন্ডিকেট নির্বাচন স্থগিত : শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নির্বাচনের কথা ছিল।
মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা : শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ এনে আন্দোলনে নেমেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিপন্থী হিসাবে পরিচিত কতিপয় শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবস্থান নেন শিক্ষকদের একাংশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ সম্বলিত নানা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে তাদের হাতে।
তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের নিয়ে যে মন্তব্য করছে তা অশালীন। এতে শিক্ষকরা আহত হয়েছেন। তবে তাদের এ অবস্থান ও মানববন্ধন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে বলে মনে করছে অনেকে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবির) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন গণমাধ্যমে বলেন, শিক্ষকদের এই অবস্থান দেখে আমি বিস্মিত। এই মুহূর্তে শিক্ষকদের কোনোভাবেই মাঠে নামা উচিত হয়নি। এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হলো। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষকরা আর শিক্ষক নেই। শিক্ষকদের এমন আচরণের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক খারাপ দিকে নিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই বিরোধীপক্ষ ভাবা উচিত নয়। শিক্ষকরা মূলত এই মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীদের আরও উস্কিয়ে দিলেন।
শিক্ষকদের মানববন্ধনের বিষয়ে জানতে শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস গণমাধ্যমে বলেন, শিক্ষকদের মানববন্ধনের বিষয়ে শুনেছি। কিন্তু আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ জানায়নি। এ কর্মসূচির সঙ্গে শিক্ষক সমিতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ক্যান্টিন বন্ধ, মাঠেই রান্না শিক্ষার্থীদের: বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, হল ছাড়ার নির্দেশনার পর সোমবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে হলের ক্যান্টিনও। আর মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ক্যাফেটেরিয়া। তবে হল ছাড়ার নির্দেশনা না মেনে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। রাতের খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠেই চুলা জ্বালিয়ে তারা রান্না করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরের সামনের খোলা মাঠে হয় রান্নার এই আয়োজন। ওই মাঠে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, মাটির চুলা তৈরি করে বড় বড় হাঁড়িতে রান্নার করা হচ্ছে। মাঠে বসেই শিক্ষার্থীদের কেউ পেঁয়াজ-মরিচসহ সবজি কাটছেন। কেউ লাকড়ি জোগাড় করছেন। তবে রান্নার জন্য আনা হয়েছে বাবুর্চি।
রান্নার তদারকিতে থাকা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমদ বলেন, আমাদের হলের ক্যান্টিন বন্ধ, আশপাশের রেস্টুরেন্টও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এখন আমরা খাওয়া নিয়ে সমস্যা পড়েছি। তাই আমরা নিজেরা চাঁদা তুলে ও কিছু বড় ভাইদের সহযোগিতায় এখানে রান্নার আয়োজন করেছি। এখানেই সবাই খাব। আন্দোলন যতদিন চলবে এভাবে রান্নার আয়োজনও চলবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি ছাত্রী হল ও ৩টি ছাত্র হল রয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী থাকেন। তবে হল ছাড়ার নির্দেশনার পর অর্ধেক শিক্ষার্থীই চলে গেছেন। আন্দোলনের জন্য রয়ে গেছেন হাজার খানেক।
যা বলছে শাবি প্রশাসন: বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় শাবি প্রশাসন বক্তব্য প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়- গত ১৩ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে ভাইস চ্যান্সেলর অবহিত হন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের কিছুসংখ্যক ছাত্রী তার সঙ্গে দেখা করতে চান। তিনি জানতে পারেন, ঐ রাতে হলের প্রভোস্ট মহোদয়ের সাথে ছাত্রীদের কথাবার্তায় শিক্ষার্থীগণ সন্তুষ্ট না হওয়ায় সরাসরি উপাচার্যের সাথে কথা বলতে আগ্রহী। পরে এ সময় ধৈর্য সহকারে ছাত্রীদের বক্তব্য শুনে পরদিন তাদের দাবিসমূহ লিখিত আকারে নিয়ে আসার অনুরোধ করেন। পরদিন (১৪ জানুয়ারি) তারিখে ছাত্রীরা লিখিত দাবী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, প্রভোস্ট, প্রক্টরবৃন্দ আলোচনা করেন এবং দাবিসমূহ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ছাত্রীগণ তা মেনে নিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে সভাস্থল ত্যাগ করলেও পরবর্তীতে সভাকক্ষের বাইরে উপস্থিত অপেক্ষমান অন্যান্য শিক্ষার্থীগণ সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন।
এর পরদিন (১৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন শিক্ষককে পরিস্থিতির ব্যাপারে ভাইস চ্যান্সেলর অবহিত করেন। সকল দাবী-দাওয়া কার্যকর করার এবং মেনে নেয়ার বিষয়টি অবহিত হয়ে শিক্ষকরা কর্মসূচী প্রত্যাহারের জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীগণ শিক্ষকবৃন্দের এ আহবানকেও প্রত্যাখ্যান করে স্বঘোষিত আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
১৬ জানুয়ারি ভাইস চ্যান্সেলর উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারনের জন্য সকল ডিন (বিভাগীয় প্রধান)-দের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় দায়িত্বরত প্রভোস্টের অব্যাহতি গ্রহণ এবং হলের প্রভোস্ট পদে একজন সিনিয়র অধ্যাপকের সম্মতি গ্রহণে সিদ্ধান্ত করে ছাত্রীদের সকল দাওয়া মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ওই দিন পূর্ব নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনবৃন্দের একটি অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর অংশগ্রহণের জন্য তাঁর কার্যালয় থেকে রওয়ানা দিলে শিক্ষার্থীরা আটকিয়ে প্রতিবন্ধকতা করে এবং শিক্ষার্থীরা তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে অগ্রসর হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ছাত্র-ছাত্রীদের মূল দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়ার পরও অদ্যাবধি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের উপর দায় বর্তাবার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সরকার ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আহবানের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে যাওয়ার আহবান উপেক্ষা করছেন শিক্ষার্থীরা। বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষা জীবন নির্বিঘ্নে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল মহলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে শাবি প্রশাসন।
উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আহবান ভিসির: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। চলমান ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এতে দোষী হলে সরকারের নির্দেশ তিনি মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন ভিসি।
‘উপাচার্য কোন রকম সংশ্লিষ্ট নয়’ দাবি করে বুধবার সাংবাদিকদের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তাঁদের জন্য আমাদের ভালোবাসার জায়গায় আছে।’ উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, খুবই মর্মাহত।
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, গত ১৪ তারিখ থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত প্রতিদিন আমাদের ডিনরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। ট্রেজারারসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক প্রতিনিধিরাও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই শিক্ষার্থীরা তাঁদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তবুও সব সহ্য করেন শিক্ষকরা।
‘আন্দোলনকারীরা কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থী। তাঁদের জন্য আমরা এখানে আছি। সব সময় আমরা তাঁদের মঙ্গল কামনা করি’ উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, গতকালও একজন শিক্ষক প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা কোন প্রকার কথা বলতে রাজি হয়নি।’
শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। এখন তাঁরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন।