মাধবপুর থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক নবনির্বাচিত সদস্যের গলায় ফুল ও টাকার মালা দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্লোজড (সাসপেন্ড) হলেন মাধবপুর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মুমিনুল ইসলাম। বুধবার ১২ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এক আদেশে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
গত ৬ জানুয়ারি ১১ নম্বর বাঘাসুরা ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য তাজুল ইসলামের গলায় ফুল ও টাকার মালা পড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি সচেতন মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছিলো ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসআই (নিরস্ত্র ) মমিনুল ইসলাম ঘুরে ফিরে দেড় যুগের বেশি সময় মাধবপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাধবপুর থানায় প্রথমে ড্রাইভার পরে জুনিয়র সেরেস্তা/মুন্সি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুন্সি থাকাবস্থায় এএসআই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানায় চলে যান। সেখান থেকে ২০০৯ সালে আবার মাধবপুর থানায় যোগদান করেন । ২০১২ সালে এস আই পদে পদোন্নতি পেয়ে এপিবিএন যোগদান করে ৬ মাস কর্মরত থেকে আবার পুনারায় মাধবপুরে চলে আসেন। দীর্ঘ কয়েক বছর থাকার পর গত ২ বছর পূর্বে মাধবপুর থেকে সিলেটের ওসমানীনগর থানায় যোগদান করেন। ওসমানীনগর থানায় দায়িত্বরত অবস্থায় কয়েক দিন পরই তিনি ক্লোজড হন। পরে সিলেটের জকিগঞ্জ চৌকি আদালতে তাকে ন্যস্ত করা হয়েছিল। সেখান থেকে মাস চারেক আগে তিনি আবার মাধবপুরে চলে আসেন। সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারি ইউপি সদস্যকে টাকার মালা পড়ানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশাসনিক কারণে পুলিশ সুপার তাকে ক্লোজড (সাসপেন্ড) করেন। মাঝে মধ্যে এসআই মমিনুল ইসলামের বদলি হলেও বদল হয়নি তার বাসা।
উল্লেখ্য, মাধবপুর থানার সরকারী বাসায় প্রায় দেড় যুগ ধরে অবস্থান করছেন তিনি। মাধবপুর থানায় যোগদানকৃত পুলিশ অফিসাররা সরকারি বাসায় ওঠতে না পেরে ব্যক্তিগতভাবে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন বলে জানা যায়।