কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে কোনো উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনো সমাবেশ, গান-বাজনা করা, আতশবাজি বা পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি, মোটর সাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরণের অশোভন আচরণ এবং বেআইনী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
ওইদিন রাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বেশকিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগরী এলাকায় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোন ধরণের জমায়েত, সমাবেশ, উৎসব করা যাবে না।
উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ছয়টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত এবং শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
এছাড়া গুলশান এলাকায় প্রবেশের জন্য কাকলী ক্রসিং এবং আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দিয়ে এ দুইটি ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে হবে।
একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সকল নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় গমণের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
ওইদিন সন্ধ্যা ছয়টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না।
গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকবৃন্দকে রাত আটটার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্যেব অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে সন্ধ্যা ছয়টার পরে ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।
ইংরেজি নববর্ষের শুরুতে সন্ধ্যা ছয়টার থেকে পরের দিন ভোর ছয়টার পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরা জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্রাফিক ডাইভার্সন ও পরামর্শ:
গুলশান, বনানী ও বারিধারায় প্রবেশের সকল রাস্তা রাত আটটা থেকে বন্ধ রাখা হবে। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকগণের প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং আমতলী ক্রসিং (মহাখালী) খোলা রাখা হবে। সেক্ষেত্রে গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বসবাসরত নাগরিকদের রাত আটটার মধ্যে ওই এলাকায় প্রবেশের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ওইদিন রাত আটটা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নম্বর রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং ওই এলাকাসমূহে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে ওই এলাকা থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।
একইভাবে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরের দিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত শুধুমাত্র শাহবাগ ক্রসিং এবং নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ পরিচয় প্রদর্শন এবং শনাক্তকরণ পূর্বক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। এজন্য পরিচয়পত্র সাথে রাখার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
পলাশী ক্রসিং, ভাঙ্কর্য ক্রসিং, বকশী বাজার ক্রসিং, রোমানা চত্ত্বর ক্রসিং, দোয়েল চত্ত্বর ক্রসিং এবং শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সকল প্রকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
হাইকোর্ট পয়েন্ট থেকে আসা সকল প্রকার গাড়ি সমূহ দোয়েল চত্ত্বর বামে মোড় নিয়ে শহিদুল্লাহ হল হয়ে চাঁনখারপুল ক্রসিং দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে।
সড়ক ব্যবহার সংক্রান্তে যে কোন জরুরি প্রয়োজনে ফোন করুন :
ডিসি ট্রাফিক (নর্থ)-০১৭১৩৩৭৩২২৫, এডিসি ট্রাফিক (নর্থ)-০১৭১৩৩৭৩২২৬, এসি ট্রাফিক (গুলশান)-০১৭১৩৩৯৮৪৯৭, এসি ট্রাফিক (উত্তরা)-০১৭১৩৩৯৮৪৯৮, ডিসি ট্রাফিক (সাউথ)-০১৭১৩৩৭৩২২৩, এডিসি ট্রাফিক (সাউথ)-০১৭১৩৩৭৩২২৪, ডিসি (গুলশান)-০১৭১৩৩৭৩১৬৬ ও ডিসি (উত্তরা)-০১৭১৩৩৭৩১৫৬।
ডিএমপি ইংরেজি নববর্ষ-২০১৯ উদ্যাপন করতে সম্মানিত নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে ডিএমপি।