খাদিমনগর ইউনিয়নে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি

9

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সদরের এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নে চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগের পাশাপাশি চোর ধরিয়ে দিতে পারলে অর্ধলক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, শহরতলীর এই ইউনিয়নের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এমনকি বাড়িঘরেও চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিশেষ করে গত আক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে ও জানুয়ারীতে গোটা খাদিমনগরে অনেক চুরির ঘটনা ঘঠেছে। এসব ঘটনায় অনেক মূল্যবান সম্পদ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ টহল থাকলেও রাতের আঁধারে ইউনিয়নের ছালিয়া, পাগলামোড়া, সিংগারপুল, আটকিয়ারি ও ধোপাগুলে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। কোন প্রতিকার না হওয়ায় জনমনে বিরাজ করছে চরম হতাশা। এ ব্যাপারে থানা পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগের পাশাপাশি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। তবে তেমন কোন ইতিবাচক ফলাফল এখনো পাওয়া যাচ্ছেনা।
সম্প্রতি ছালিয়া কলারতল এলাকার মেসার্স ফরহাদ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড স্টোনক্রাশারের মালিক আব্দুল আহাদ এয়ারপোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর পরপর দুই রাতে তার ক্রাশার মিলের দুইঘোড়া বিশিষ্ট মোটর, ওয়েল্ডিং মেশিন, লৌহজাত সামগ্রীসহ প্রায় লাখ টাকার সম্পদ কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। অনেক চেষ্টায়ও চোর বা চুরি হওয়া মালামালের কোন হদিস মিছলছেনা। অবশ্য তিনি তার অভিযোগে কোন আসামীর নাম উল্লেখ করেননি। থানায় অভিযোগের পাশাপাশি আব্দুল আহাদ নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এসব চুরির ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করে চোর ধরিয়ে দিতে পারলে অর্ধলক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
শুধু আব্দুল আহাদই নয়, উল্লিখিত গ্রামগুলোর আরও অনেক অধিবাসীই একই অভিযোগ করেছেন। ছালিয়া এলাকার আব্দুল বশির (৩৪) জানান, কয়কেদিন আগে তার বাসার বারান্দা থেকে অজ্ঞাতনামা চোরেরা মূল্যবান কিছু নির্মাণ সামগ্রী ( রড ) নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, শুধু ছালিয়াই নয়। প্রতিবেশী অন্যান্য গ্রামেরও একই অবস্থা। স্থানীয় সচেতন মহলের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ পেশাদার চোর চক্রের সাথে আছে নেশাখোরদের উপদ্রব। ইয়াবা ও হেরোইন সেবনকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। তারা নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরির আশ্রয় নিচ্ছে। করছে ছিনতাইও।
তাদের অভিযোগ, পুলিশ ঠিকমতো মনিটরিং না করায় এই দূরবস্থা। তারা কাজ করলে মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারতেন। নেশাখোরদের ব্যাপারে তারা অভিভাবকদের সচেতনতার পাশাপাশি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের আরও কার্যকর উদ্যোগের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে পুলিশের অমনোযোগীতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির। তিনি বলেন, চুরির উপদ্রব কিছুটা বেড়েছে এটা সত্য। তবে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছেনা- এ অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আমরা কাজ করছি। হঠাৎ করে চুরির প্রবনতা বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করে আমরা প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছি।