কাজিরবাজার ডেস্ক :
দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি ঝুলে গেছে। তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হলেও এ ব্যাপারে আদেশ দেয়নি আদালত। বিচারিক আদালতের নথি পাওয়ার পর আদেশ দেবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
রবিবার বিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
বেলা দুইটায় শুনানির শুরুতেই এজলাসে বিএনপি নেতা ও আইনজীবীদের ভিড় দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এ সময় ভিড় কমানোর জন্য সময় দিয়ে এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন বিচারকরা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বিচারকরা আবারও এজলাস কক্ষে ফিরে এসে শুনানি শুরু করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ২২ ফেব্র“য়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করে। পাশাপাশি স্থগিত করে তার অর্থদণ্ড। এছাড়া ১৫ দিনের মধ্যে মামলার সব নথি পাঠাতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে নেয়া হয়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্র“য়ারি বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়।