সিলেট সিটি কর্পোরেশনে জন্ম-মৃত্যুর সনদ বিতরণে চরম অনিয়ম, জনভোগান্তি ॥ আমির আলীকে বরখাস্ত, তামান্নাকে অন্য শাখায় বদলী

15

স্টাফ রিপোর্টার :
জন্ম ও মৃত্যুর সনদ বিতরণ শাখায় চরম অনিয়ম, উৎকোচ ও জনভোগান্তির শীর্ষে রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সেবাগ্রহীতাদের এমন অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘদিন পর হলেও ওই শাখার কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অপর কর্মচারীকে অন্য শাখায় সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নিবন্ধক ডা. জাহিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, সম্প্রতি নগরভবনে জন্ম নিবন্ধনের সনদ উত্তোলন এবং সংশোধনের হার বেড়েছে। পাসপোর্ট তৈরি, বিয়ে, জমি রেজিস্ট্রেশন, শিশুদের করোনার টিকা এবং স্কুলে ভর্তিসহ ১৭টি সেবার ক্ষেত্রে জন্মসনদ বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে এই সনদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অভিভাবকরা। দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকাও। জন্মসনদ সংশোধন করতে গিয়েও শিকার হতে হচ্ছে এমন ভোগান্তির।
অভিযোগ রয়েছে- জন্ম নিবন্ধন উত্তোলন ও সংশোধনকে কেন্দ্র করে নগরভবনে গড়ে উঠেছে দালালচক্র। যার ফলে ৫০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস লেনদেন হয় এ শাখায়। টাকা না দিলে সার্ভার সচল নয় বলা হয়। কিন্তু টাকা দিলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেলে সেবা।
এ ব্যাপারে ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া অভিযোগের খানিকটা সত্যতা পেয়ে আমির আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তামান্না বেগমকে এই শাখা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ শাখার অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক, মো. নাসিম উদ্দিন ও সুলতানাসহ আরো কয়েকজনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে অন্য শাখায় সরিয়ে নেওয়া হবে। এবং জন্ম ও মৃত্যু সনদ বিতরণ শাখায় নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে নতুন সেটআপ দেওয়া হবে।