৭ ডিসেম্বর জালালপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জালালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অনস্বীকার্য। এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য লড়াই করেছেন। তাই জালাপুর মুক্ত দিবসের গুরুত্ব অনেক বেশি।
তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। জালালপুরে পতাকা উত্তোলন ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ৭ ডিসেম্বর সকালবেলা ভুটান আর বিকেলে ভারত সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই খবর শুনার পর আমরা জালালপুরে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জালালপুর মুক্ত ঘোষণা করি। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকন্ঠ আর নেতৃত্ব আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ছড়াকার আতিক রাহমানের পরিচালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জালালপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আওলাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সালিশ ব্যাক্তিত্ত শেখ ইদ্রিছ আলী তুরন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য শহিদুর রহমান শাহীন ও জালালপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ওয়েছ আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আনিলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখলাকুল আম্বিয়া বাতিন, সাংবাদিক খালেদ আহমদ, ইউপি সদস্য শফিক উদ্দিন, সমাজসেবী ছুরাব আলী, শায়েখ আহমদ, আব্দুল আহাদ সাজু, শেখ সুহেল আহমদ, জাকারিয়া উল হক, প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি