সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সফলতার দ্বিতীয় বছর

72

অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি :

জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসেন। সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর নাম সবার সম্মুখে প্রকাশ করেন। তিনি আগামী তিন বছরের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার তাদের ওপর অর্পণ করেছিলেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর কমিটিকে প্রবীণ ও নতুনের সমন্বয়ে ঢেলে সাজানোর কথা ব্যক্ত করেছিলেন। দুজনেই বলেছিলেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ফেরিওয়ালা। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী দলের জন্য কাজ করবেন। দলকে গতিশীল এবং সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য কাজ করবেন। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি যারা করেন তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিবেন না। তৃণমূলকে প্রাধান্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে জনগণের দল। তাই দলকে আরও জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন। জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন কাজের জন্য তাদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে এবং গুণগত রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখবেন।
বিভিন্ন মিডিয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছিলেন তারা প্রায় সবগুলো কাজই বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এবং তারা সফলও হয়েছেন। ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশিত ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত মহানগর আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদেরকে নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের চলমান কাজ অব্যাহত রাখেন।
মাসুক-জাকিরের নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের সফলতার দ্বিতীয় বছরের আংশিক কাজের কিছু চিত্র তুলে ধরা হলো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঢাকায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১০ই জানুয়ারি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির খাম সবার সম্মুখে প্রদর্শন করেন। ফলে বিমান বন্দর প্রাঙ্গণ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়। বিমান বন্দর থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ কমিটি শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ১০ জানুয়ারি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১১ জানুয়ারি নবগঠিত মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ শাহজালাল (রহ.), শাহপরান (রহ.) ও শাহ্ গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন। জননন্দিত সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের কবরও জিয়ারত করেন মহানগরের নেতৃবৃন্দ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির প্রহসন আর একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদ জানিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ। ১৬ ফেব্রুয়ারী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান এমপিকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাত ফেরী, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ৪ঠা মার্চ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চে সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। ১১ই মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মাগফিরাতের জন্য মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১০দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী টানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ১৭ মার্চ থেকে ক্বিন ব্রিজের পাশে সারদা হলের সামনে প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে আলোচনা সভা এবং স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সূচী অনুযায়ী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। ১৭ মার্চ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, ১৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ১৯ মার্চ জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ, ২০ মার্চ জেলা ও মহানগর আওয়ামী যুবলীগ, ২১ মার্চ জেলা ও মহানগর শ্রমিক লীগ, ২২ মার্চ জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ মার্চ জেলা ও মহানগর কৃষক লীগ, ২৪ মার্চ জেলা ও মহানগর তাঁতী লীগ, ২৫ ও ২৬ মার্চ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করে। ৩১ শে মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত এর সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ১১ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ১৪ এপ্রিল মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৭টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়। ১লা মে শ্রমিক দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। ৬ মে সিলেট মেরিন একাডেমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান। ৯ মে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। ৫ জুন ঈজও কর্তৃক আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার কৌশল কর্মশালা ‘অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি। সেখানে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ। ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বৃক্ষরোপণ এবং ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার সময়োপযোগী বাজেটকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ১৫ জুন সিলেটের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ১৮ জুন দক্ষিণ সুরমার মৌবন মার্কেটের একটি অফিসে (২৮ জুলাই) সিলেট -৩ উপনির্বাচনের জন্য ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং গুলশান সেন্টার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ৯ জুলাই সিলেটের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পরাষ্ট্রমন্ত্রীর জরুরী সভায় মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অংশগ্রহণ। ১০ জুলাই সিলেটের কৃতি সন্তান মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ। ১৮ জুলাই, সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব এর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা প্রদানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মহানগর আ’লীগের নেতৃবৃন্দ। ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা। ২৫ জুলাই সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সিলেট -৩ আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী জননেতা হাবিবুর রহমান হাবিব এর পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ করে। ২৬ জুলাই সিসিক’র সীমানা বর্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাবৃন্দকে অভিনন্দন জানান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
শোকের মাস হলো আগষ্ট। মহানগর আওয়ামী লীগের শোকাবহ আগষ্টের কর্মসূচীগুলোর মধ্যে ছিলো ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাদ আছর শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণ। ৭ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ইব্রাহিম ভাই স্মরণে এবং গুলসান গ্রেনেড হামলা দিবসে সেইদিনের সকল আহত নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল সভা। ৮ আগষ্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জন্মবার্ষিকীতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাদ যোহর শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে দোয়া মাহফিল ও শিরণী বিতরণ। ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে সূর্য উদয়ের ক্ষণে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ। জেলা প্রশাসনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‌্যালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং গুলশান সেন্টারে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও শিরণী বিতরণ। মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ। মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জাতির জনকের ভাষণ প্রচার। ১৭ আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ২১ আগষ্ট ন্যাক্কারজনক গ্রেনেড হামলা দিবসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ৭ থেকে ৯ আগষ্ট পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। ২৮ আগস্টষ্ট সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের ৯টি উপকমিটি বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ করে। ১ থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ। ২রা সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট লুৎফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ২রা সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে হোটেল নির্বানা বিশেষ মিটিং এ অংশগ্রহণ। ৩ সেপ্টেম্বর এডভোকেট লুৎফর রহমানের প্রতি মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নামাজের জানাযায় অংশগ্রহণ। ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট-৩ উপ-নির্বাচনে হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি নির্বাচিত হওয়ায় মহানগর নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন। ৬ সেপ্টম্বর মরহুম এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এর মরহুম ছেলে সায়েমের রূহের মাগফিরাত কামনায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ১১ সেপ্টেম্বর সিসিক মেয়রের অসৌজন্যমূলক ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যের প্রতিবাদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বিশেষ জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। ১২ সেপ্টেম্বর বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াট, সিলেট ১৫০ টু ২২৫ মেঃ ওঃ সিসিপিপি, মেঘনাঘাট ১০৪ মেঃওঃ এবং চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট কুমারগাঁও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ১২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ তনয়া শেখ রেহানার জন্মদিনে মহানগর আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা। ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে করোনাযোদ্ধা চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগরের নেতৃবৃন্দ। ২১ সেপ্টেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘মুকুট মনি’ আখ্যায়িত হওয়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের আন্তরিক অভিনন্দন। ২৮শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকীতে মহানগর আওয়ামী লীগ বাদ যোহর শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদের নিচ তলায় মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণ করে। অসহায় ও দুস্থ শিশুদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ এবং মন্দির, প্যাগোডা ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করে। ৪ অক্টোবর ঈজও আয়োজনে ২ দিনব্যাপী সাইবার সিকিউরিটি লিডারশিপ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে মহানগর নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ। ১১ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গা পূজা উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা এবং ১৩ ও ১৪ অক্টোবর নগরীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে। ১৫ অক্টোবর সিলেটের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যাতে বিনষ্ট না হয় সে লক্ষে উলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ মিছিল প্রত্যাহার এবং ঐ দিন প্রতিমা বিসর্জ্জনের অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ। সিলেট সিটির ৮ নং ওয়ার্ডের হালদার পাড়ায় ভাটিবাংলা পূজামন্ডপে হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে উপস্থিত হয়ে অশান্ত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে পূজারীবৃন্দদের আশ্বস্ত করেছিলেন মহানগরের নেতৃবৃন্দ। ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ। সিলেট জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সকল ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ‘সিলেটের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বজায় রাখতে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা কর্তৃক আয়োজিত দেশের চলমান সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রায়’ উপস্থিত ছিলেন মহানগরের নেতৃবৃন্দ। ২২ অক্টোবর সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমিন এমপি। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশু পার্কের শুভ উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ২৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পরিষদে টানা তিনবারের উপদেষ্টা, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু নছরের মৃত্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ। ২রা নভেম্বর সিলেট জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এম কাজী এমদাদুল ইসলামের পিতা এম কাজী ইউনুছ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ। ৩রা নভেম্বর ঐতিহাসিক জেলহত্যা দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ৬ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সাধারণ সভা মির্জাজাঙ্গালস্থ হোটেল নির্বানা ইনের কনফারেন্স হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রয়াত আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের জন্য শোক প্রস্তাব আনা হয়। আনীত শোক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এডভোকেট সৈয়দ আবু নছর, মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব সিরাজ বক্স, ২,৫, ১৪ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি রথি মোদক, মুজিবুর রহমান পারেক, শমশের বক্স, রোকন উদ্দিন আহমদ এর জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উক্ত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগকে আরো বেশি শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার জন্য ৯টি সাংগঠনিক উপকমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করার জন্য ৯টি সাংগঠনিক উপকমিটিকে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রত্যেক উপ-কমিটিকে ৩টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাছাড়া প্রচার, দপ্তর, তথ্য ও অর্থ সেল নামে চারটি সেল গঠন করা হয়। ১০ নভেম্বর নবনির্বাচিত জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। ১৩ নভেম্বর, দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এবং অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ওর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) প্রদত্ত ‘অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কার লাভ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অভিনন্দন জানান সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ১৪ নভেম্বর উইটসা (ডওঞঝঅ) এমিনেন্ট পার্সনস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মহানগর আওয়ামী লীগের অভিনন্দন। ১৭ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য অবদান শুরু হলো পরীক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিন প্রদান।
সিলেট এমসি কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিন প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ১৯ নভেম্বর সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফটোসেশান শেষে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রেড ক্রিসেন্ট থেকে যাত্রা শুরু করেন মহানগরের নেতৃবৃন্দ। ঢাকায় রাত্রিযাপন শেষে পরের দিন শনিবার সকালে টুঙ্গিপাড়ায় যায়। ২০ নভেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে যান মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ.কে আব্দুল মোমেন এমপি। ২৪ নভেম্বর, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্যবৃন্দের সাথে মহানগর আওয়ামী লীগের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ নভেম্বর, বিজয়ের মাস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। ১লা ডিসেম্বর, বিজয়ের পঞ্চাশে, আমরা মাতি উল্লাসে।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বর্ণিল বিজয় শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানগুলো তুলে ধরা হল। উপরোক্ত সবগুলো কর্মসূচী ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সিলেট বিভাগের জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল সহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মৃত্যুতেও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নগরীর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রতিনিয়ত অংশগ্রহণ করে। গত এক বছরে (৫ ডিসেম্বর ২০২০- ৫ ডিসেম্বর ২০২১) মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় ও ব্যক্তিগত মিলে প্রায় ৭৬৫ টি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে। যা সিলেটের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। সিলেটে এই প্রথম মহানগর আওয়ামী লীগের সারা বছরের দলীয় কর্মকান্ড যা বিভিন্ন পত্রিকায় ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে তা তারা বই আকারে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তাছাড়া সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন তার প্রতিদিনের কাজের হিসাব আলাদা করে সংরক্ষণ করে রাখছেন। সত্যিই তাদের এই কাজগুলো প্রশংসনীয়। দুজনেই দায়িত্ব নেওয়ার পরে বলেছিলেন যে, তারা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চান। সে পথেই তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটা প্রোগ্রামেই তারা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে দলীয় কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করছেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যা বলেছিলেন তা-ই পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন এবং সফলও হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দিকনির্দেশনা পালনের জন্য তারা দুজনেই সবসময় প্রস্তুত আছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আবিষ্কার ও আস্থাভাজন দুই নেতাকে নিয়ে কিছু কথা – বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ হলেন একজন সৎ, নির্লোভী, সাদা মনের মানুষ। যিনি সারাটা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে রাজনীতি করে চলেছেন। ১৯৬৫ সালে স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৬৭ সালে বর্তমান সিলেট সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন। পরে উক্ত কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। পরে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এম.সি কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্বপালন করেন।১৯৬৮/৬৯ এর আইয়ুব-ইয়াহিয়া বিরোধী আন্দোলনে সিলেটে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যোগদান করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দেশকে স্বাধীন করার জন্য পালন করেন অগ্রণী ভূমিকা। যার ফলশ্রুতিতে তিনি পেয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব। জকিগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান (১৯৯০) নির্বাচিত হয়েও জকিগঞ্জের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান পালন করেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জীবনে তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ- সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন হলেন সৎ ও স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক। তিনি অত্যন্ত নির্লোভ, পরোপকারী, প্রচার বিমুখ ও কর্মী বান্ধব একজন জননেতা। ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট গুলশানে গ্রেনেড হামলায় আহত বিজয়ী যোদ্ধা। যার শরীরে এখনো ১৮টি স্প্রিন্টার বিদ্যমানের যন্ত্রণা বহমান। তাঁর পিতা মরহুম আলহাজ্ব তাজিদ হোসেন ছিলেন সিলেট আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা। ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে “সুর্বণ জয়ন্তী” পালন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন বর্ষীয়ান,ত্যাগী, একনিষ্ঠ ও আদর্শবান আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে তাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন। অধ্যাপক জাকির হোসেন ৭৫’ এর কলঙ্কিত অধ্যায়ের পরবর্তী সময়ে স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭৯ সালে মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হয়েই একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখায় সভাপতি নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে সাংগঠনিকভাবে রাজনীতি শুরু করেন। বিশেষ করে খুনি খন্দকার মোস্তাক’কে সিলেটে প্রতিহত করার আন্দোলনে একজন অন্যতম অগ্রসৈনিক ছিলেন। তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের একাধারে পাঁচটি কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-৯৩ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক (সাধারণ সম্পাদকের পদ মর্যাদায়) দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০০১ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০১১-২০১৯ সাল পর্যন্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
দুজনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ফেরিওয়ালা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক আস্থা নিয়ে তাদেরকে দায়িত্ব দেন। তারা অত্যন্ত ক্লীন ইমেজের মানুষ হিসেবে স্বীকৃত। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই খুবই দক্ষতার সহিত দুজনে সমন্বয় করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন যা সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে সফলভাবেই তারা আরও একটি বছর পূর্ণ করেছেন। অর্থাৎ সফলতার দ্বিতীয় বছর পূর্ণ করেছেন। “ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ” এই বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগকে সারা বাংলায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান এবং প্রিয় নেত্রীর কথাকে “জনগণের কাছে যান, তাদের খুঁজ খবর নেন ” বাস্তবায়ন করতে চান। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা সকলের।গুণগত পরিবর্তন রাজনীতিতে আসুক, সকল অপশক্তি দূর হোক। তৃতীয় বছরের সফলতার জন্য শুভকামনা রইল। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক ও কলামিস্ট।