গোলাপগঞ্জে ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

21

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে সরকারি অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে । গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ৩টি গম্বুজ ও একটি বিশাল মিনার সম্বলিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে ৩৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় সরকারি অর্থায়নে মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপিত হতে যাওয়ায় উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সন্তোষ ও শুকরিয়া আদায় করেছেন।
জানা যায়, দেশে সরকারি অর্থায়নে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর অংশ হিসেবে গোলাপগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের পুরনো মসজিদ ভেঙ্গে ৪০ শতাংশ জমির উপরে ১২ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ২৪৫ টাকা ব্যয়ে ৩ তলা এই স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির ৩৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রতিদিন শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন। একটু একটু করে মসজিদের অবয়ব প্রকাশিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেইসমেন্ট শেষ করে প্রথম তলার ছাদ ডালাই শেষ হয়ে গেছে। এখন দ্বিতীয় তালার ছাদ ডালাইয়ের কাজ চলতেছে। উপজেলা মডেল মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মডেল মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা ছাড়াও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। আধুনিক সুবিধা সম্বলিু সুবিশাল মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে থাকবে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক অজুর স্থান, লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র, কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন কেন্দ্র ও ইমামদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকবে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মসজিদ নির্মাণে প্রতিদিন ১৮ জন জন শ্রমিক কাজ করছেন। রড কাটা, বাঁধা, সিমেন্ট, বালি ও পাথরের সংমিশ্রণ তৈরি আর পিলার ঢালাই চলছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের একজন সাইট ইঞ্জিনিয়ার এসবের তদারকি করছেন।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেরিনা কনস্ট্রাকশন এসোসিয়েট লিমিটেড অ্যান্ড আর কে বিল্ডাস অ্যান্ড ইন্জিনিয়ার্সের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে। কাজ প্রায় ৩৫ ভাগ শেষ হয়েছে। দেড় বছরের ভেতরে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল মতিন বলেন, সারা দেশে সরকার মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছেন, এটা সরকারের সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ১২ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। মডেল মসজিদগুলো শুধু নামাজ পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এখানে ইসলামী সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন ও গবেষণাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকবে।