“সিলেট সদর উপজেলায় একাধিক উন্মুক্ত স্থান থাকা সত্ত্বেও লাক্কাতুরা চা-বাগানে বিদ্যালয়ের আঙিনায় রোপণ করা গাছ নষ্ট করে পশুর হাট কেন?”-এই প্রশ্ন উত্থাপন করে মুজিববর্ষে রোপণ করা বৃক্ষ রক্ষায় হাট সরানোর দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের উদ্যোগে প্রতিবাদী অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সিলেট নগরীর লাক্কাতুরা চা-বাগানের মূল ফটকের সম্মুখে রবিবার (২৬ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে ২ শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সামাজিক দূরত্ব রেখে অংশগ্রহণ করেন।
বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম মূল বক্তব্যে বলেন, “একদিকে গাছ লাগানোর কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে যত্নে লাগানো গাছ বিনষ্ট করার পাঁয়তারা করবে স্থানীয় প্রশাসন। সরকারকে আগে ঠিক করতে হবে স্কুল মাঠে শিক্ষার্থীদের দিয়ে গাছ লাগানোর শিক্ষা দেওয়া হবে ? না, স্কুল মাঠ গরু-ছাগলের হাটে পরিণত করা হবে?”
স্কুল চত্বরে গত বছর বৃক্ষভিক্ষা করে সংগ্রহ করা গাছের চারা লাগানো ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবির বলেন, আমদের ভিক্ষার বৃক্ষ ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্কুলের শিক্ষার্থীদের লাগানো এই গাছ বিনষ্টের জন্য যারা এই স্থানে হাটের ইজারা দিয়েছেন তাঁরা প্রকৃতি ও পরিবেশ বুঝেন না। এদের কাছে টাকাই সব।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েসন (ইমজা)’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈনুদ্দিন মন্জু, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক ছামির মাহমুদ, সেইভ দ্যা হেরিটেইজ এন্ড এনভায়রনমেন্ট সিলেটের আহ্বায়ক আব্দুল হাই আল হাদি, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপারের মুজাহিদ হোসেন মুনিম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, লাক্কাতুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও লাক্কাতুরা চা-বাগান কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক আপত্তি সত্ত্বেও লাক্কাতুরায় বিদ্যালয় মাঠে হাটের ইজারা দেয় সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন। যা পরিবেশবাদীসহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের উদ্রেক করে। বিজ্ঞপ্তি