নারী ক্রিকেটারদের জয় অব্যাহত

6

টিম টাইগারের ক্রিকেটের দুঃসময়ে আনন্দের সংবাদ বয়ে এনেছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। আগামী বছর নিউজল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য নারীদের ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জাহানারা-সালমারা। ইতোমধ্যে নারী ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ১১ বার। এশিয়ার কোন দেশই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ শিরোপা জিততে পারেনি। ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, চারবার ইংল্যান্ড এবং একবার নিউজিল্যান্ড। এবার ফল জানতে নিউজিল্যান্ডের দিকে থাকবে সবার চোখ।
ঢাকার মাঠে টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ছেলেরা যখন পাকিস্তানের কাছে নাস্তানাবুদ হচ্ছিল, তখন জিম্বাবুইয়েতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নারী ক্রিকেটাররা পাকিস্তানকে হারিয়ে কিছুটা হলেও বাঙালীর মনে এনে দেয় স্বস্তি। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিয়ে বিশাল জয় তুলে নেয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে হেরে গেলেও আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে বাকি ছিল বাংলাদেশের আরও একটি খেলা। এরপর দুই গ্রুপ থেকে তিনটি করে দল নিয়ে সুপার সিক্স টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল। সুপার সিক্স থেকে সেরা তিন দল বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ করার কথা। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ায় টুর্নামেন্ট বাতিল করে দেয় আইসিসি। শেষ পর্যন্ত র‌্যাঙ্কিয়ের ভিত্তিতে আগামী বিশ্বকাপের দল বাছাই করা হয়।
আগামী বিশ্বকাপের আট দলের মধ্যে র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া (১৬২), দক্ষিণ আফ্রিকা (১২১), ইংল্যান্ড (১১৯), ভারত (১১২), বাংলাদেশ (৯৫), নিউজিল্যান্ড (৮৮), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৮৭) এবং পাকিস্তান (৬৮)। ২০২২ সালের ৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের ৬টি মাঠে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে প্রত্যেক দল খেলবে সবার সঙ্গে। সেরা চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। মোট ৩১টি ম্যাচের মধ্যে উদ্বোধনী ম্যাচ আনুষ্ঠিত হবে ৪ মার্চ অকল্যান্ডের সিডন পার্ক মাঠে। দুটি সেমি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩০ (অকল্যান্ডের সিডন পার্ক) এবং ৩১ মার্চ ( ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভাল)। ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে ওভাল মাঠে ৩ এপ্রিল।
২০১৯ সালে আইসিসি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে অনুষ্ঠিত আয়ারল্যান্ড ট্রাই নেশন্স সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এটিই একমাত্র শিরোপা। এর বাইরে ছয়টি ওয়ানডে বিশ^কাপ খেলে কোয়ার্টার ফাইনালে (২০১৫) যাওয়াটা বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাতবার অংশ নিয়ে একবার সেমিফাইনাল (২০১৭) পর্যন্ত খেলেছে। এশিয়া কাপে ১৩ বার অংশ নিয়ে তিনবার ফাইনাল খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। নারী ক্রিকেটাররা ২০১৮ সালে কুয়ালালামপুরে টি-২০ এশিয়ান কাপে ভারতকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এটিই এখন পর্যন্ত কোন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা অর্জন। এবার নারী ক্রিকেটাররা ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসরে জায়গা করে নিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, তারা এই টুর্নামেন্ট ভাল কিছু অর্জন করুক।