ভুয়া ডাক্তারি সনদ সন্দেহে ২২ মামলা, তদন্তে পিবিআই

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চিকিৎসাসেবা দিতে সাময়িক নিবন্ধনের জন্য ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) আবেদন করেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মো. আফসার (ছদ্মনাম)। তার দাবি, তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এমবিবিএস ডিগ্রির সনদ ও কাগজপত্রে চীনের ‘তাইসান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’র নাম। ফলে তা যাচাইয়ের জন্য ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেইলের মাধ্যমে সনদ যাচাইয়ের আবেদন করে বিএমডিসি।
দুই সপ্তাহ পর সেই ইমেইলের জবাব দেয় তাইসান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি। তারা জানায়, প্রেরিত নামের কোনো নিবন্ধিত ছাত্রের তথ্য তাদের কাছে নেই এবং ইমেইলে পাঠানো সনদটিও তাদের দেওয়া নয়। ফলে মিথ্যা প্রমাণিত হয় আফসারের এমবিবিএস ডিগ্রির প্রোভিশনাল সার্টিফিকেট। এতে জাল ও ভুয়া সনদ সন্দেহে আফসারের রেজিস্ট্রেশন আবেদনটি বাতিল করে বিএমডিসি।
অবশ্য এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. আফসার বলেন, ‘আমি তাইসান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনুইন (প্রকৃত) শিক্ষার্থী ছিলাম। বাংলাদেশে এসে সব প্রক্রিয়া মেনেই নিবন্ধনের জন্য পরীক্ষা দিয়েছি। সবকিছু যাচাই করেই তখন পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এখন বলছে, আমার কোনো তথ্য তারা পাচ্ছে না।’
ভুয়া সনদ জমা দেওয়ায় আরেক অভিযুক্ত সিরাজগঞ্জ সদর থানার আবদুস সালাম (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়। আমি সাভার কমপ্লিমেন্টারি মেডিকেল কলেজে তিন বছর শেষ করার পর জানতে পারি প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন নেই। তখন এটি বন্ধ হয়ে গেলে মাইগ্রেশনের চেষ্টা করি। দেশের বাইরে চীনের তাইসান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বিএমডিসিতে ইন্টার্নশিপের নিবন্ধনের জন্য সব কাগজপত্র জমা দেই। তারা দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে যাচাই করে জানালো, সব ঠিক আছে, আমিও নিবন্ধন ফি জমা দিই। নিবন্ধন করতে কোয়ালিফাই পরীক্ষা নেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। সেখানেও পাস করলাম। রেজাল্ট শিট বিএমডিসিতে জমা দেওয়ার পর তারা ইন্টার্নশিপ করার সার্টিফিকেট দেয়।’
তার সনদ নিয়ে কেন এমন সন্দেহ জানতে চাইলে আবদুস সালাম বলেন, “যতটুকু জানি তাইসান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তন হয়ে নতুন নাম ‘সেংডন ফাস্ট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’ করা হয়েছে। তাই হয়তো কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।”
শুধু আফসার বা সালামই নন, এ তালিকায় রয়েছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার একজন, সাতক্ষীরার তালা থানার একজন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার একজন, ভোলার দৌলতখান থানার দৌলতখান পৌরসভার একজন, কুমিল্লার বরুড়া থানার দুইজন, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) থানার একজন, ঢাকার সাভারের একজন, বাগেরহাট সদরের দুজন, ফেনীর দাগনভুঁইয়ার একজনসহ আরও কিছু ব্যক্তি।
সবচেয়ে উল্লেখ করার বিষয় হলো আফসারের মতো তাদেরও এমবিবিএস ডিগ্রির সনদ ও কাগজপত্রে রয়েছে চীনের সেই তাইসান মেডিকেল ইউনিভার্সিটির নাম। এর আগে রাশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও এমন তিনটি ভুয়া এমবিবিএস সনদ ধরা পড়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু তারাই নন, এমন আরও ২২টি ভুয়া ও জাল সনদধারীর বিষয়ে আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। এর মধ্যে গত মাসের শেষে মামলা হয়েছে ১০টি। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. আরমান হোসেনের পক্ষে বাদী হয়ে এ মামলা করেন সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর এ কে এম আনোয়ার উল্যাহ। এরই মধ্যে কয়েকটি মামলার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ১৬টি মামলার তদন্ত চলমান।
এ বিষয়ে মামলার বাদী এ কে এম আনোয়ার উল্যাহ বলেন, ‘আগে বিদেশ থেকে যারা এমবিবিএস ডিগ্রি নিতেন তাদের বিএমডিসির নিবন্ধন পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সনদপত্র সত্যায়িত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএমডিসিতে আবেদন করতে হতো। এরপর বিএমডিসি একটি পরীক্ষা নিতো। পরীক্ষায় পাস করলে প্রথমে ইন্টার্নশিপের জন্য সাময়িক ও ইন্টার্নশিপ শেষ হলে স্থায়ী নিবন্ধন দেওয়া হতো। দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভেরিফাই (যাচাই) করতো বলে নতুন করে যাচাই করা হতো না।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যাচাই প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড হওয়ায় পদ্ধতি উন্নত ও সহজ হয়েছে। এতে ভুয়া সনদ জমা দিলে তা যাচাই করতে গেলেই ধরা পড়ে। প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসে। যাদের সনদের সত্যতা মেলেনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেগুলো তদন্ত করতে দিয়েছেন। আশা করি, তদন্তে জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসবে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করবেন আদালত।’
ভুয়া ও জাল সনদের বিরুদ্ধে করা বেশ কয়েকটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘তদন্তকাজ এখনো শেষ হয়নি, চলমান। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনো নিশ্চিত করে তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষ হলে সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে।’ তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভুয়া সনদ ব্যবসায়ী চক্র ও এর সঙ্গে দূতাবাসের কেউ জড়িত না থাকলে সেটা সত্যায়ন করা যেমন সম্ভব নয়, আবার ভুয়া সনদধারীদের বিএমডিসির পরীক্ষায় কেউ জড়িত না থাকলে পাস করারও কথা নয়। এমন না হলে সনদ, দূতাবাসের সত্যায়নসহ সব কাজ করতে একটা সংঘবদ্ধ চক্র হয়তো থাকতে পারে।
বিএমডিসির তথ্য মতে, চলতি বছরের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সংস্থাটি থেকে এক লাখ ১৩ হাজার ৫১ জন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী নিবন্ধন নিয়েছেন। বিডিএস (ডেন্টাল) নিবন্ধন করেছেন ১১ হাজার ৫৩৮ জন।
এছাড়া ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গত এক দশকে এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি নিতে বিদেশে পড়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন সেই সংখ্যা মোট দুই হাজার ৩৫৫ জন। এর মধ্যে ২০১৯ সালে বিদেশে পড়তে গেছেন ৫৬ জন, ২০২০ সালে ৩৭ জন, ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জনে।
সংস্থাটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ ৯ (নয়) পায় তারা অনুমতি নিয়ে বিদেশে পড়তে যেতে পারে। যারা বিদেশে এমবিবিএস ও বিডিএস (ডেন্টাল) পড়তে যান তাদের মধ্যে দেশে ফিরে পরীক্ষা দিয়ে ইন্টার্নশিপ পাওয়া ও চূড়ান্ত নিবন্ধন নম্বর নেওয়ার সংখ্যাও কম। বিদেশে পড়তে যাওয়া দুই হাজার ৩৫৫ জনের মধ্যে শুধু গত বছর পরীক্ষা দিয়ে এমবিবিএস ও বিডিএসের (ডেন্টাল) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছেন ১০০ জনের মতো। এর আগে এই সংখ্যা ছিল আরও কম। এছাড়া চূড়ান্ত নিবন্ধন পরীক্ষায় অনেকে পাসও করেন না।
জানা যায়, ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিডিএস (ডেন্টাল) চূড়ান্ত নিবন্ধন পরীক্ষায় কেউ পাস করেননি। ২০২১ সালে পরীক্ষায় অংশ নেবেন মাত্র চারজন। প্রাথমিক নিবন্ধন নিয়ে যারা বিদেশে যান তাদের অনেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন নেন না কিংবা নিতে পারেন না। ফলে চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন না করা পর্যন্ত তাদের ডিগ্রি ভুয়া কি না সে ব্যাপারে জানারও সুযোগ থাকে না। তবে এর একটি অংশ আবার মেডিকেল ডিগ্রি নিতে বিদেশ গেলেও ডিগ্রি নেন অন্য বিষয়ে বা অন্যকিছু করেন। কেউ কেউ আর দেশেও ফেরেন না।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য অনুমতি বাধ্যতামূলক। যারা বিএমডিসির নিবন্ধন নিয়েছেন, সেই তুলনায় উপজেলাসহ সারাদেশে হিসাব করলে নিবন্ধন ছাড়াও অনেক চিকিৎসক পাওয়া যাবে। উচ্চশিক্ষার নামে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে ভুয়া ডাক্তারি সনদ নিচ্ছে। এগুলোর জন্য প্রয়োজন সঠিক যাচাই প্রক্রিয়া। অন্যথায় এ অবস্থা থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়।
‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০’ এর ২৯ (১) ধারায় বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে নিবন্ধন করা কোনো মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোনো নাম, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক ব্যবহার বা প্রকাশ করবেন না, যার ফলে তার কোনো অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে বলে মনে করতে পারে, যদি না তা কোনো স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা হয়ে থাকে। ন্যূনতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্তরা ব্যতীত অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না।
আইনের উপধারা (২)-এ বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর বিধান লঙ্ঘন করলে ওই লঙ্ঘন হবে একটি অপরাধ এবং সেজন্য তিনি ৩ (তিন) বছর কারাদণ্ড বা ১ (এক) লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং সেই অপরাধ অব্যাহত থাকলে প্রত্যেকবার তার পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ডে, বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত হিসেবে দণ্ডিত হবেন।
সেই হিসেবে চিকিৎসাশাস্ত্রে কোনো ডিগ্রি না নিয়ে কিংবা বৈধ সনদ ছাড়া চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া অবৈধ ও বেআইনি। এজন্য শাস্তিরও ব্যবস্থা রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা ডেন্টাল হাসপাতালের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির বলেন, ভুয়া ডাক্তারির বিরুদ্ধে দেশের আইনে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ আইনের বাস্তবায়ন খুবই কম। এতে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে নানাভাবে। তাই এদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। এছাড়া আমরা দেখেছি, বিডিএসের (ডেন্টাল) বাংলাদেশের ডিগ্রির যে মান সেই তুলনায় বিদেশের ডিগ্রির মান তুলনামূলকভাবে কম। যাদের যোগ্যতা নেই তারা প্রাথমিক নিবন্ধন ছাড়াই যান। ফলে ডিগ্রি শেষ না করেই অনেকে ভুয়া সনদ বানিয়ে ফেলে। খোঁজ নিলে এমন বহু ঘটনা পাওয়া যাবে।
ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকে। উপজেলা পর্যায়ে সেটা দিন দিন বেড়েই চলছে বলে মনে করেন অনেকে। ফলে দেশজুড়ে প্রয়োজন সঠিক তদারকি।
এ বিষয়ে চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, ভুয়া সনদ দিয়ে যারা চিকিৎসা করছেন তাদের চিহ্নিত করা জরুরি। এজন্য বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম বাড়ানো যেতে পারে। আমরা চাই, নজরদারি কিংবা ভালোভাবে তদারকির মাধ্যমে যারা ভুয়া সনদ দিয়ে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করছেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
বিএমডিসির নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও সনদ যাচাইয়ের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. আরমান হোসেন বলেন, দেশে যারা ডিগ্রি নেন তাদের কাগজপত্র সহজে যাচাই করা যায়। তবে যারা বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন তাদের কাগজপত্র যাচাই করা আগে কিছুটা জটিল ছিল। এখন সেটা অনেকটাই সহজ হয়েছে। এখন নিবন্ধন দেওয়ার সময় সেগুলো আমরা ভালোভাবে যাচাই করি। ফলে যারা ভুয়া ও জাল সনদ তৈরি করছেন তারা ধরা পড়ছেন। ২০১৮ সাল থেকে ভালোভাবেই যাচাই করা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, যারাই এমন জাল ও ভুয়া সনদ দিয়ে আবেদন করবেন কিংবা কোনোভাবে নিবন্ধন নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের আওতায় এনে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
ভুয়া সনদ নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া সংক্রান্ত মামলার তদন্তের বিষয়ে পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অর্গানাইজেশন) আহসান হাবীব পলাশ বলেন, এ ধরনের মামলার তদন্ত আমরা আগেও করেছি। যারা বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসেন তাদের সব তথ্য ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) মাধ্যমে আমরা যাচাই করি। এর আগে এ ধরনের যেসব মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে সেসব ঘটনায় বাংলাদেশেও যারা জড়িত তাদেরও আমরা শনাক্ত করেছি। আশা করছি, বাকি মামলার তদন্তেও যারা এসব ভুয়া কাজ করেছেন তা বের হয়ে আসবে। এবারও জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।