কাজিরবাজার ডেস্ক :
গোলাপগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় এহতেশামুল হক শাহিন (৪২) নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে নিহতের ছোট ভাই ইফতেখারুল হক সবুজ এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা (নম্বর-২৮) দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের আগে সোমবার (২২ মার্চ) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া অটোরিকশাচালক মহি উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোলাপগঞ্জের হাজীপুর লরিফর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র আলী আহমদ (২৪) ও ফজলু মিয়ার পুত্র সাহেদ আহমদ (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর আটকৃত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শাহিন হত্যার রহস্য খুব শিগগিরই উদঘাটন করা হবে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিপুর গ্রামের সড়কে রোববার দিবাগত (২২ মার্চ) রাত ১টার দিকে সন্ত্রাসীরা এহতেশামুল হক শাহিন (৪২) নামের ওই ব্যবসায়ীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন করে পালিয়ে যায়। শাহিন লরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল হকের ছেলে এবং হেমিগঞ্জ বাজারের ‘হাসিবা ট্রেডার্স’ নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী। তিনি দুই শিশু পুত্র সন্তানের জনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহিন রোববার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি স্থানীয় একজন সিএনজি চালককে ফোনে জানান তিনি ঢাকা থেকে ফিরছেন, তাকে যেন সিলেট থেকে নিয়ে আসে। সিলেট নেমে তিনি সিএনজি যোগে বাড়ি পথে যাত্রা করেন। রোববার দিবাগত রাত ১টারদিকে গ্রামের রাস্তায় প্রবেশের পর গ্রামের নার্সারি সংলগ্ন স্থানে রাস্তায় কলাগাছ ফেলে সন্ত্রাসীরা গাড়ির গতিরোধ করে। পরে সন্ত্রাসীরা ড্রাইভারকে বেঁধে ফেলে। এ সময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে ড্রাইভার মুক্ত হয়ে শাহিনকে আহত অবস্থায় বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।