জগন্নাথপুরে বীজ ধান বিক্রির ধুম

11

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে বীজ ধান বিক্রির ধুম পড়েছে। পছন্দের বীজ ধান কিনতে কৃষকরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ডিলার গুলোতে। ডিলাররাও অল্প লাভে রীতিমতো প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করছেন।
১ নভেম্বর সোমবার দেখা যায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের বিভিন্ন বীজ ডিলারের দোকানে কৃষক ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। তারা তাদের পছন্দ মতো বীজ কিনতে দামদর কষাকষি করছেন। এবার সরকারি বীজ ব্রি-২৮ ও ব্রি ২৯ ধানের পাশাপাশি হীরা, হীরা-২, হীরা ১৯, হীরা ৬, ছক্কা, জনকরাজ, বৈশাখি, ঝলক, অগ্রণী ৭, যমুনা, দোয়েল, টিয়া, তেজ, শক্তি, সোনার বাংলা, আপ্তাব, নবীন, ইস্পাহানী, গাজীপুর সহ অসংখ্য প্রাইভেট কোম্পানীর বাহারি প্যাকেটের বীজ ধান বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারি ১০ কেজি বস্তার বীজ বিক্রি হচ্ছে ৪৭০ টাকা দরে। প্রাইভেট কোম্পানী গুলোর প্রতি কেজি বীজ ২৬০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এসব বীজের মধ্যে কম সময়ে বেশি ফলনের আশায় কৃষকরা হাইব্রিড জাতের বীজ বেশি কিনতে দেখা যায়।
এ সময় কৃষক ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে জানান, গত বছর হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবার আমরা এসব বীজ কিনেছি। তবে কদরিছ মিয়া ডিলারের পক্ষে মেসার্স বাউধরণ ভেরাইটিজ স্টোরের মালিক আকুল মিয়া জানান, এবার বীজ ধানে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। তাই প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসা করতে গিয়ে আমরা অল্প লাভেই বিক্রি করছি। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান মজুমদার জানান, বীজে বাজার সয়লাব হওয়ায় কৃষকরা কিছুটা হলেও কম দামে কিনতে পারছেন। আমরাও সেটা চাই। তবে কেউ উচ্চমূল্যে বীজ বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সাথে সরকার অনুমোদনহীন কোন বীজ বিক্রি করা যাবে না। কোন ধরণের অনিয়ম যাতে না হয়, এ জন্য আমরা ডিলারগুলো নিয়মিত তদারকি করছি।
এদিকে-গত বছর বোরো ফসল ভাল হওয়ায় কৃষকরা এবার জমি আবাদে আরো বেশি উৎসাহিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে হাওর থেকে পানি নামার সাথে সাথে বীজতলা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। সেই সাথে চলছে বোরো জমি পরিছন্ন করার কাজ। বীজতলা তৈরি করে যার যার চাহিদা অনুযায়ী বীজ ধান সংগ্রহ করতে ডিলারগুলোতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কৃষকরা।