পারভীন আকতার :
প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) আমাদের,
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ইহকাল আর পরকালের।
হযরত জিব্রাইলের (আঃ) ওহী শিক্ষাদানে,
কঠোর পরিশ্রমে আসীন তিনি উচ্চাসনে।
কষ্টের দেখা তাঁর জীবন প্রারম্ভকালে,
এতিম হয়েছেন সেই কখন শিশুকালে!
চরম দূর্দিনে কেঁদে বুক ভাসালেও,
কারো ক্ষতি করেননি ক্ষণকালেও।
মোহহীন নির্লোভ নিরহংকারী নেতা,
ধর্ম প্রতিষ্ঠায় ছিল সম্প্রীতি ও একতা।
ধর্ম প্রচারে শত কষ্ট যাতনা সইয়ে গেছেন,
কঠিন মসিবত সংকটে ধৈর্যধারণ করেছেন ।
শিশুকালেই আল আমিন উপাধি পেয়েছেন,
শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটে সেরা আমানতকারী হয়েছেন।
খোদার স্বয়ং শিক্ষা দীক্ষায় তিনি বুঝেছেন,
সর্বক্ষণ অন্তরে মায়া ভালোবাসা পুষেছেন।
কেউ বলতে পারবে না জোর করেছেন,
ইসলাম পালনে বাধ্য কাউকে করেছেন।
আল্লাহর বাণীর মর্ম কথা শুনিয়েছেন,
দলে দলে লোক ইসলামে এসেছেন।
আমাদের নবী (সাঃ) প্রকৃত একজন ধার্মিক,
আমরা কেন হয়েছি আজ তবে বকধার্মিক?
ইসলাম শান্তির ধর্ম গবেষকরাও সদা বলেন,
পবিত্র কোরআন ও হাদীস মতে যদি চলেন।
প্রিয় নবী (সাঃ) দেখেছেন আরশে খোদাকে,
বেহেশত দোজখ দেখলেন নিজেই স্বচক্ষে।
শানে রাসূল (সাঃ) অতীব ধর্মপ্রাণ ছিলেন,
আল্লাহ আমাদের তাঁর উম্মত সৌভাগ্য দিলেন।
রাজপ্রাসাদে থাকা কেউ অনুকরণীয় নয়,
কুঁড়ে ঘরে তপস্যায় আল্লাহকে কর জয়।
ধর্মের হানাহানি যুদ্ধ-বিগ্রহ কখনোই কাম্য নয়,
প্রিয় নবীর (সাঃ) জৌলুশে এই কর প্রত্যয়।