সারাদেশে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শিগগিরই

3

কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাজধানীসহ সারাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রমের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওই বয়সের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে টিকাদানের তালিকা প্রণয়ণ করবে এবং প্রচলিত নিয়ম অনুসারে টিকা গ্রহণের জন্য সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
তবে শিক্ষার্থীদের টিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেওয়া হবে না। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ও ঢাকার বাইরে বড় আকারের কেন্দ্রগুলোতে (যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব) টিকাদানের পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকাদানের জন্য ৭০০ থেকে ৮০০ নার্স নিয়োজিত থাকবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারিত না হলেও খুব শিগগিরই ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট রয়েছে তাদেরই টিকাদান করা হবে।
টিকাদানের আগে কিছু অত্যাবশ্যকীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে কিছুটা সময় লাগবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের জন্য কি কি তথ্য-উপাত্ত লাগবে, কোন স্কুলে কত শিক্ষার্থী রয়েছে সে তালিকা গ্রহণ করে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। শিক্ষার্থীরা সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করবে।
অধ্যাপক ফ্লোরা জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব স্কুলে টিকাদান করা হবে না। ফাইজারের টিকা কোল্ড চেইন মেইনটেইন করতে হয় বলে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে এমন কোনো স্থান নির্ধারণ করা হবে যেখানে টিকার যথাযথ কোল্ড চেইন মেইনটেইন করার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সুষ্ঠুভাবে টিকাদান করা সম্ভব হবে।
সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলা না গেলেও ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।