কাজিরবাজার ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু বুক কর্নারের মতোই দেশের প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবার শেখ রাসেল বুক কর্নার স্থাপন করা হবে। আগামী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবসে বুক কর্নার চালু করা হবে। যেসব বিদ্যালয় এই সময়ের মধ্যে চালু করতে পারবে না সেসব বিদ্যালয়কে চলতি বছরের মধ্যে বুক কর্নার স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু কর্নার করেছি। একইসঙ্গে ডেডিকেটেড করা হচ্ছে শেখ রাসেল বুক কর্নার। শেখ রাসেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। সেই দায়বোধ থেকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে এটি করছি। আগামী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবসে বুক কর্নার চালু হবে। আর চলতি বছরের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুক কর্নার স্থাপন কাজ শেষ করতে হবে।
লাইব্রেরিতে কী ধরনের বই সংরক্ষণ করা হবে জানতে চাইলে মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘মূলত শিশুতোষ বই থাকবে। শিশু একাডেমির যেসব বই রয়েছে সেগুলো রাখা হবে। ’
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসের সভাপতিত্বে গত ২৯ আগস্ট এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২৩ সেপ্টেম্বর ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে সচিবের সভাপতিত্বে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল বুক কর্নার স্থাপন করতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের আওতাধীন দফতর, সংস্থার কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সভায়।
এই সিদ্ধান্তের আলোকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুক কর্নার স্থাপনের নির্দেশ দেন।
এদিকে আগামী ১৮ অক্টোবর দিবস পালনে রবিবার ১০ (অক্টোবর) অফিস আদেশ জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অফিস আদেশটি সব বিভাগের উপপরিচালককে সোমবার পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক।
ওই অফিস আদেশে বলা হয়, ‘শেখ রাসেল দিবস, ২০২১’ পালনের জন্য মাঠ পর্যায়ে ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে সাজসজ্জাকরণ, রচনা, চিত্রাঙ্কন, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা আয়োজন করতে হবে।’