গালিমপুর-দাউদপুর সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে

56

Kalimpur road-21-04-15(1)স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার গালিমপুর-দাউদপুর-কাস্তরাইল সড়কের বেহাল দশায় জন দুর্ভোগ এখন চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। রাস্তার সংস্কার কাজের এক পাশে আরসিসি ড্রেনের কাজ শুরু হলেও অন্যদিকে সড়কের কাজের কোন অগ্রগতি নেই। সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দীর্ঘদিন ধরে ঢাকনাবিহীন ড্রেনের আংশিক কাজ সমাপ্ত হলেও আরসিসি রাস্তার কাজের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখন বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ডুবে গিয়ে কাদা জমে যানচলাচলসহ ৩ গ্রামের লোকজন চলাচল করতে পারছেন না। ফলে এ রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে লোকজন প্রতিনিয়ত দুঘর্টনার শিকার হচ্ছেন। যেন সিসিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের কোন দায়ভার নেই।
অতিসত্তর গালিমপুর-দাউদপুর-কাস্তরাইল রাস্তাটির আরসিসি রাস্তা মেরামত করে ঢাকনাবিহীন ড্রেনের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য কর্তৃপক্ষকে এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন। এ রাস্তার সাথে সংযুক্ত চান্দাই, শিববাড়ী, জৈনপুর, মোমিনখলা, বকসিপুর, চকেরবাজার, জালালপুর, ঢাকা-সিলেট বাইপাস মহাসড়কও রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সরজমিন দেখা যায়, এ রাস্তার একদিকে ঢাকনাবিহীন ড্রেন অন্যদিকে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় পরিণত হয়েছে। স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা, সরকারী চাকুরী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক এবং সাধারণ লোকজন এ রাস্তা দিয়ে কাদা-পানি ভেঙ্গে চলাচল করে চরম দুর্ভোগে পোয়াচ্ছেন। কোন গাড়ী-রিক্সার চালকরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। ফলে অনেকেই যান নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে চাইছেন না। তার পরও সিটি কপোরেশন কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারী নেই। এছাড়া ড্রেনের সংযোগ স্থাপনেও নেই কোন পদক্ষেপ। এ অবস্থায় এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, এডভোকেট মোঃ মকসুদ আহমদ, মানবাধিকার সংস্থার মোঃ ফখরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মোঃ মছব্বির মিয়া, সরকারী চাকুরীজীবী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, সিলেট জজ কোর্টের মহুরির আলমগীর হোসেন, দেলোয়ার আহমদ ও সুলতান আহমদ, ব্যবসায়ী কালাম আহমদ, মধুবন মার্কেট ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া, চাকুরীজীবী মোঃ কামরুল ইসলাম প্রমুখ জোর দাবি জানিয়েছেন।
স্থানী বাসিন্দা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন অনেক টা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বর্তমানে এ রাস্তার হাল এমন অবস্থা ঢাকনাবিহীন ড্রেনের আংশিক কাজ হবার পরে রাস্তার অবস্থা আরও ন্যাক্কার জনক ও নাজেহাল অবস্থা হয়েছে। ফলে রাস্তাটি চলার অনুউপযোগী।
মধুবন মার্কেটের পাঁচ ভাই জেন্টস্ কালেকশনের মালিক বাবুল মিয়া জানান, রাস্তার বেহাল দশার কারণে সময় মতো ব্যবসায় উপস্থিত হতে পারছি না। এমনকি কীন ব্রীজ থেকে কোন রিক্সা ও সিএনজি অটোরিক্সা নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে  না বা যেতে চায় না। এ রাস্তা দিয়ে গাড়ী নিয়ে গেলে গাড়ী ক্ষতি হলে কে দেবে বলে চালকরা সরে যায়।
আইনজীবী মোঃ মকসুদ আহমদ বলেন, রাস্তায় ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে পানি জমে লোকজন চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুঘর্টনার শিকার হচ্ছেন।
চাকুরীজীবী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান জানান, এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে গালিমপুর-দাউদপুর-কাস্তরাইল সড়কের বর্তমান বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরে কয়েকদিন আগে সিসিকের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুর আজিজের কাছে গেলে, তিনি রাস্তাটি দেখে ব্যবস্থা নিবেন এবং যথাযথ নিয়মেই খুব শীঘ্রই রাস্তার কাজ সম্পন্ন হওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু পরে তিনি বর্তমান রাস্তার অবস্থা দেখে ব্যবস্থাও নেননি।
গতকাল বিকেলে এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কপোরেশনের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুর আজিজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনির মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেন, রাস্তাটির জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। সামনে রাস্তারটির সংস্কার কাজ করা হবে।’