বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স যাচাইয়ের প্রস্তাব

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাল্যবিয়ে বন্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের মাধ্যমে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স যাচাইয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এনআইডি সার্ভারের তথ্য ব্যবহার করে বিয়ের কাজী নিজের তথ্য ও বিয়ে প্রার্থীদের তথ্য ইনপুট দিয়ে বিয়ের ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ গ্রহণের পদ্ধতি চালু করার জন্য বলা হয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আ স ম ফিরোজ এই প্রস্তাব দেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আ স ম ফিরোজ বাল্যবিয়ে বন্ধে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে ওই প্রস্তাব দেন। তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধে গ্রামভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম চালু করার পাশাপাশি নারী নির্যাতন বন্ধে থানার একজন নারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার এবং প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার স্থাপনের সুপারিশ করেন। এ ছাড়া মাদক দমনে প্রতিটি থানায় একজন অফিসার নির্ধারণ করে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন আ স ম ফিরোজ।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ এবং বেগম রুমানা আলী অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিশেষভাবে আমন্ত্রণে আ স ম ফিরোজ ছাড়াও মোছা. মাহাবুব আরা গিনি, মেহের আফরোজ, মো. আব্দুস শহীদ, আ ফ ম রুহুল হক, মো. হাবিবে মিল্লাত, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এবং আরমা দত্ত অংশ নেন।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু বলেন, কমিটির বৈঠকে বাল্যবিয়ে বন্ধে করণীয় নিয়ে আলোচনাকালে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স প্রমাণে এনআইডি যাচাইসহ বেশকিছু প্রস্তাব এসেছে। সংসদীয় কমিটি ওই বক্তব্য আমলে নিয়েছে। পরবর্তীতে বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বৈঠকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বিএপিপিডি’র প্রতিনিধি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যদের পরামর্শ বিষয়ক কর্মশালায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং যৌন হয়রানি বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়।