স্টাফ রিপোর্টার :
বালাগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুরের ৫৫ বছর বয়সী শেখ আহমদ আলীকে ষড়যন্ত্র করে শিশু ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে শেখ রেদওয়ান আহমদ রাজন। রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শেখ রেদওয়ান আহমদ রাজন এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, তার বাবা শেখ আহমদ আলী অসুস্থ ও বয়স্ক হওয়াতে বাড়ির পাশেই একটি মুদি দোকান তৈরি করে সেখানে ব্যবসা করে আসছিলেন। তাদের দোকানের পাশে আরও কয়েকটি দোকানও রয়েছে। তার বাসার সাথে গ্রামের কারও কোন বিরোধও নেই।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ৬ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ। মূলত, হেয় প্রতিপন্ন করতেই পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ তার বাবাকে মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, তার বাবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার পর দেশে-বিদেশে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না তারা। নিজেদের সম্মান রক্ষার জন্যই সাংবাদিকদের সামনে এসে মামলার প্রতিবাদ করছেন বলেও জানান।
তিনি বলেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে ঘটনা ঘটেছে সকালে। অথচ ওই শিশুর পরিবারের বরাতে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘটনার সময় হিসেবে বিকেলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর তার বৃদ্ধ বাবাকে বাসগৃহে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকার কিছু লোক। এ সময় তার বন্ধ দোকানঘরে লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ রাত ১১ টায় অবরুদ্ধ আমার বাবাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। পরে থানায় গিয়েই তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে পারেন।
তিনি দাবি করেন, মামলার বাদী ইরব আলী পড়ালেখা জানেন না, তবে কে মামলার নিচে স্বাক্ষর দিলেন? সেই বিষয়টা অনুসন্ধান করলেই কার নির্দেশে এই মামলায় তার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে তা প্রকাশ পাবে। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যথাযথ তদন্তের দাবিও করেন তিনি।