কাজিরবাজার ডেস্ক :
কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতি বিভাগে সমাবেশ কর্মসূচী শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যেই বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে সমাবেশ হয়েছে। কিন্তু হাকডাক করে সমাবেশের প্রস্তুতি নিলেও এতে দলের নেতাকর্মীদের সাড়া ছিল কম। এর ফলে দীর্ঘদিন পর মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করলেও এতে আশানুরূপ সফলতা পাচ্ছে না বিএনপি।
দীর্ঘ প্রায় ২ মাস ধরে সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ কর্মসূচী পালনের কথা বলে আসছে বিএনপি। অনেক মিটিং-সিটিংয়ের পর ১৮ জুলাই বরিশাল মহানগর সদরে প্রথম সমাবেশ করে। এরপর ২০ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর সদরে সমাবেশ করে দলটি। মহাসমাবেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বেশ ক’দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে এ কর্মসূচী পালন করা হলেও এতে লোক সমাগম করতে পারছে না বিএনপি। এর ফলে এ কর্মসূচী আশানুরূপ সাড়া ফেলতে পারছে না।
সূত্রমতে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাবন্দী থাকায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাই দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনার বিষয়ে গাছাড়া ভাব দেখাচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে অধিকাংশ সক্রিয় না থাকায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এর ফলে বরিশাল ও চট্টগ্রামের সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার আগে কোন বিভাগ কিংবা জেলা সদরে সমাবেশ কর্মসূচীতে গেলে তাঁর পেছনে পেছনে দলের সকল কেন্দ্রীয় নেতারাও সেখানে যেতেন। আর একেক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে তাঁর আরও ৫-১০ জন অনুসারী যেতেন। এর ফলে ঢাকার বাইরে কোন কর্মসূচীতে গেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরেই থাকতেন সহগ্রাধিক নেতাকর্মী। আর খালেদা জিয়াসহ দলের প্রায় ৬০০ সদস্যের নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মী কোন কর্মসূচীতে অংশ নিলে তৃণমূল পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে বিভাগ কিংবা জেলা সদরের কর্মসূচীতে সদল বলে চলে আসতেন। কিন্তু এখন আর এমনটি হচ্ছে না।
সদ্য সমাপ্ত বরিশাল ও চট্টগ্রামের সমাবেশে রাজধানী থেকে মাত্র ২০ থেকে ২৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নিয়েছেন, যা প্রায় ৬০০ সদস্যের নির্বাহী কমিটির সর্বোচ্চ শতকরা মাত্র ৪ ভাগ। তাই যেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতি এত কম সেখানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম হবে এটাই স্বাভাবিক।
১৮ জুলাই বরিশাল বিভাগীয় সদরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠের কর্মসূচী শুরু করেছে। ঈদের আগেই ঢাকার বাইরের সব বিভাগে জনসভা করতে চায় দলটি। আর সব শেষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় ধরনের একটি সমাবেশ করে রাজপথের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করতে চায় দলটি। তবে দুই বিভাগের সমাবেশ নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন সাড়া জাগাতে না পারায় পরবর্তী কর্মসূচী নিয়ে দলের হাইকমান্ড চিন্তিত বলে জানা গেছে।