স্টাফ রিপোর্টার :
কুলাউড়ার ভাটেরায় ট্রেনের ধাক্কায় গত রবিবার দুপুরে মাইক্রোবাস যাত্রী নিহত দুজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটায় নগরীর মানিকপীর টিলায় তাদের লাশ দাফন করা হয়। নিহত দুজন হচ্ছেন- ফরিদ উদ্দিন (৪৮) ও তার ভাতিজা আফিফ (৮)। তারা নগরীর আম্বরখানা এলাকার লোহারপাড়া কাজী জালাল উদ্দিন আবাসিক এলাকার ১২৩/১ নং আলি কটেজের বাসিন্দা ছিলেন।
এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত আফিফের বাবা কামাল আহমেদ (৩৫) ও বড় ভাই লাবিব গুরুতর আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে কামাল আহমদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার রাতে ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আরও ৪ জন আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটাল ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন- লিলি বেগম (৪০), রাবু বেগম (২০), রিজু (২০) ও জাহানারা বেগম (৫৪)। এসব তথ্য সোমবার বিকেলে নিশ্চিত করেন কামাল আহমেদের প্রতিবেশী ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন রিজভী আহমেদ।
জানা যায়, রবিবার সামাজিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দু’টি মাইক্রোবাসে করে সিলেট শহর থেকে কুলাউড়ার ভাটেরায় যাচ্ছিলেন তারা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাটেরা এলাকার হোসেনপুর গ্রামের প্রবশের সময় একটি গাড়ি রেলক্রসিং অতিক্রম করে। অন্যগাড়ি ৯ জন যাত্রী নিয়ে রেললাইন অতিক্রম করতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দেন। রাস্তা সরু ও মাইক্রোবাস চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় রাস্তা দিয়ে প্রবেশ না করতে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারকে আপত্তি জানান স্থানীয় বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু ড্রাইভার এদের আপত্তি তোয়াক্কা না করে রেল লাইনে উঠে পড়ে। মাইক্রোবাসের দু’টি চাকা অতিক্রম করলেও পেছনের দুটি চাকা অতিক্রম করতে সময় নিচ্ছিলো গাড়িটি। অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়ি থেকে নেমে সটকে পড়ে ড্রাইভার। এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সিলেটগামী আন্ত:নগর পারাবত ট্রেন এসে আটকাপড়া মাইক্রেবাসে প্রচন্ড শক্তিতে ধাক্কা দেয়। দ্রুতগামী ট্রেন প্রায় অর্ধকিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ফরিদ উদ্দিন (৪৮) ও তার ভাইয়ের ছেলে আফিফ (৮) মারা যান। আহত হন ৬ জন। হতাহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। পরে তারা নগরীর প্রাইভেট দুটি হাসাপাতালে ভর্তি হন। নিহতদের বাড়ি নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় বলে জানা গেছে।