স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে মোবাইলে এসএমএস পেয়ে আসা মানুষে সংখ্যা বেড়েছে। ফলে ওসমানীতে টিকাগ্রহীতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। প্রথম দিনে ১ হাজার ১০০ ডোজ টিকা গ্রহিতারা টিকাগ্রহণ করেছেন। এদিকে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত আনসার সদস্য, নার্স ও টিকাপ্রদানকারীরা। গতকাল শনিবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ চিত্র দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তুলনায় টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়ে গেছে। এদিকে সরকার বয়স সীমা ২৫ করার পর মানুষের মধ্যে আরও আগ্রহ বেড়েছে। সকলকে সুশৃঙ্খলভাবে ধৈর্য ধরে দাঁড়াতে ও নির্দিষ্ট তারিখে এসে টিকা নেওয়ার আহবান জানান তারা। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে টিকা গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এখানে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে মাস্ক পড়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।
জানা যায়, নগরীর ১ লাখ ২৩ হাজার ৩০৬ জন মডার্নার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। গতকাল শনিবার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য ১ হাজার ১০০ জনকে বার্তা দিয়েছে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার থেকে আমরা মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান শুরু করি। তবে মোবাইলে বার্তা পাওয়া সাপেক্ষে টিকাকেন্দ্রে আসতে হবে। ম্যাসেজ না এলে কাউকে টিকা দেওয়া হবে না। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবার ফোনে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের বার্তা যাবে। তিনি বলেন, মডার্নার পাশাপাশি সিলেটে সিনোফার্ম ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদানের মাধ্যমে সিলেটে শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। ওই বছরের ৮ এপ্রিল থেকে সিলেটে শুরু হয় অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান। তবে টিকা সঙ্কটের কারণে মে থেকে নগরীর বন্ধ হয় টিকাদান কার্যক্রম। পরে ১৯ জুন থেকে মেডিকেল-নার্সিং শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে আবারও টিকাদান শুরু হয়। আর গত ১৩ জুলাই থেকে আবারও গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হয় মডার্নার টিকা এবং উপজেলায় দেওয়া হয় সিনোফার্মের টিকা। গত ১০ আগস্ট থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান শুরু হয়। যারা এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ আগে পাননি তারাই এই টিকা পাচ্ছেন।