উদ্যোগটি খুব বড় না হলেও উদ্দেশ্য এবং সামাজিক প্রভাব বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তায় পড়ে থাকা অব্যবহৃত কমোড ও টায়ার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জমা দিলে পাওয়া যাবে ৫০ টাকা। প্রতিটি ডাবের খোসা, রঙের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য পাওয়া যাবে পাঁচ টাকা করে পুরস্কার। একইসঙ্গে সপ্তাহে মাত্র একদিন থাকবে নির্দিষ্ট সময় নিজ বাড়ি পরিষ্কার করার কর্মসূচী। এমন ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ কর্মসূচী উদ্বোধনের সময় তিনি এই ঘোষণা দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুু আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন দুই শতাধিক রোগী শনাক্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত শনিবারের তথ্য অনুযায়ী দেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ছিল প্রায় এক হাজার রোগী। এর মধ্যে অধিকাংশই রাজধানীতে। চলতি বছর পহেলা জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ৪ হাজার ৩১৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই পরিসংখ্যান খুবই ভীতিকর। করোনার কারণে এমনিতেই বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নেই। এর মধ্যে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগী ভিড় করছে হাসপাতালগুলোতে। এক সময় ডেঙ্গু রোগী ভর্তিরও কোন জায়গা পাওয়া যাবে না। এজন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু যাতে বৃদ্ধি না পায় তেমন উদ্যোগ গ্রহণে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
পুরস্কারের ঘোষণা এমনই একটি উদ্যোগ। ডিএনসিসি মেয়র আরও একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন। এটি হচ্ছে সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের বাসা-বাড়ি পরিষ্কারে সময় দেয়া। মেয়র নিজে তার বাসা পরিষ্কার করে এই কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
পুরস্কারের ঘোষণা বড় বিষয় নয়। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার অনেক উদ্যোগের একটি মাত্র উপাদান হতে পারে। এর সঙ্গে সবচেয়ে বড় উপাদন নিজ বাড়ি পরিষ্কার রাখা। মহানগরীর প্রত্যেক নাগারিক যদি নিজ উদ্যোগে নিজের বাড়ি পরিষ্কার করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তবেই পূর্ণতা পাবে সামাজিক আন্দোলন। একই সঙ্গে অনেকটাই সাফল্য পাবে মশকনিধন অভিযান। রাস্তার ড্রেন, ডোবা-নালা বা পরিত্যক্ত স্থানগুলোতে দুই সিটির কর্মীরা নিয়মিত মশকনিধন অভিযান চালালে নির্মূল হবে এডিস মশা।