জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সারাদেশের মত জকিগঞ্জে চলছে গণটিকা কার্যক্রম। শনিবার সকাল থেকে কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই গণটিকা নিতে আসা ২৫ বছর ঊর্ধ্বে তরুণ-তরুণী, নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে টিকা কেন্দ্রগুলোতে।
শ্রাবণের কাঠফাঁটা রোদের তাপদাহ সহ্য ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভ্যাকসিনের অপেক্ষা করতে দেখা যায় প্রায় দেড় দুই শতাধিক নারী-পুরুষকে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ে টিকা নিতে আসা মানুষেরা। গায়ে গা ঘেঁষে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সুস্থ ব্যক্তিরাও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানান অনেকেই। রবিবার জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ইউনিয়নের টিকাকেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও টিকা নিতে আসা কয়েকজন জানান, সকাল ৮টার আগেই তারা লাইনে এসে অপেক্ষা করছেন। তবে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়নের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। যারা মোবাইলে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তাদের অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকা নিতে আসছেন। আবার আবেদনের পরও ভ্যাকসিন প্রাপ্তির এসএমএস না পেয়েও অনেকজন টিকাকেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গেছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল মেহেদী জানিয়েছেন, গণটিকাদান কার্যক্রম চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এই ৬ দিনে ক্যাম্পেইন চালিয়ে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। টিকা পাবেন ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব গ্রাম, শহর ও গ্রাম এলাকার মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে। এসএমএস ছাড়া কাউকে টিকা না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ম্যাসেজ ছাড়া কাউকে টিকা দিলে সেন্ট্রাল সার্ভারে তথ্য যুক্ত হবেনা। নানা ঝামেলায় পড়তে পারেন টিকা গ্রহণকারীরা। তাই ম্যাসেজ ছাড়া টিকা দেয়া হচ্ছেনা।