কাজিরবাজার ডেস্ক :
ওসমানীনগরে করোনার টিকার গ্রহণে আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে ২৫ বছরের ঊর্ধ্বদের করোনার টিকার আবেদনের সুযোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেড়েছে আরো আগ্রহ।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিছু দিন থেকে টিকা গ্রহণকারীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেককে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, প্রথম দিকে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরণের ভীতি বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও ধীরে ধীরে তা কাটতে শুরু করেছে। বরং সময় যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও এখন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে রেজিষ্ট্রেশন করছেন। নানা শ্রেণী-পেশার মানুষও গ্রহণ করছেন ভ্যাকসিন।
বালাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকী দিনগুলোতে চলছে ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম। গত সাতদিনে ২৫০৩ জন করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৩৬০ জন তাজপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। গত ৪ আগষ্ট পর্যন্ত ওসমানীনগরে মোট ৪৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৪৭ জন আর চিকিৎসাধীন বা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৮ জন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তাজপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে আসা শতাধিক নারী-পুরুষের ভীড় দেখা গেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যারা অনলাইনে নিবন্ধনকৃত টিকা কার্ড নিয়ে হাজির হচ্ছেন শুধুমাত্র তাদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে আসা দয়ামীরের আতাবুর মিয়া বলেন- প্রথমে টিকা নেয়ার কোন আগ্রহই ছিল না। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসহ নানা রকমের ভীতি কাজ করতো। কিন্তু এখন দেখলাম পরিচিত যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন উনাদের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে টিকা গ্রহণ করেছি।
বালাগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ওসমানীনগরে অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. এস এম শাহরিয়ার বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসার পর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই সাড়ে গড়ে তিনশজন ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিতে আসছেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতি রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করোনার নমুনা গ্রহণ করা হয়।