স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিনে গতকাল বুধবার রাস্তা-ঘাটে যান ও মানুষজন চলাচল বেড়েছে। লকডাউনের শুরুতে কয়েক দিন রাস্তাঘাটে যানবাহন ও লোকজন চলাচল কম থাকলেও এখন তা বেড়ে গেছে।
এছাড়া লকডাউনে সন্ধ্যার পর থেকে দু’একটি সড়কে টহল পুলিশ থাকলেও বেশীরভাগ সড়কে নেই কোন আইন শৃংঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা। ফলে অবাধে চলে ৩ চাকার যানসহ বেড়ে যায় মানুষজনের আনাগোনা।
এদিকে, সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত নগরীর মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ যানবাহন আটকালেও নানা অজুহাতে মানুষ বের হচ্ছেন ঘর থেকে। নগরীর প্রধান সড়ক ছাড়াও পাড়া-মহল্লার ভেতরের রাস্তায় নিয়মিত আড্ডা দিতে দেখা গেছে লোকজনকে। লকডাউন চলার পর থেকে সেসব স্থানে পুলিশের টহল নেই।
নগরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকেন সকাল ৮টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর তাদেরকে আর দেখা যায়নি। তাই সড়কে চলে ইচ্ছেমতো সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেট গাড়ি।
দিনের বেলায় ছোটখাটো প্রয়োজন, আবার কেউ কেউ প্রয়োজন ছাড়াই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হতে দেখা গেছে। পুলিশ গাড়ি আটকালে তারা নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন। কেউ বলছেন হাসপাতাল, ক্লিনিক, চিকিৎসক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাবেন। আবার কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যুর অজুহাতও দেখাচ্ছেন।
নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, অযথা মানুষ ঘুরাফেরা করছে। কেউ কেউ বন্ধ দোকানের সামনে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এদের অনেকের মুখে নেই মাস্কও।
নগরীর দক্ষিণ সুরমা শিববাড়ি এলাকার বন্দরঘাট, নগরীর কামালগড়, শেখঘাট, বেতেরবাজার ও কাজল শাহসহ বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গলির ভেতরে দোকানপাট খোলা। দোকানগুলোতে মানুষ অলস সময় পার করছে। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা আড্ডা দিচ্ছে। বিনাকাজে আবার প্রধান সড়কেও অযথা মানুষ ঘুরাফেরা করছে। একই অবস্থাও দেখা গেছে লামাবাজার, রিকাবীবাজার, মুন্সিপাড়া, ভাতালিয়া, নোয়াপাড়া, বিলপার, মির্জাজাঙ্গালেও।
পুলিশ সদস্যরা জানান, মানুষের চলাচল, যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও আমাদের চারদিকে চেকপোস্ট রয়েছে। অকারণে কারও বের হয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। বৈধ কোনো কাগজ কিংবা পর্যাপ্ত কারণ ছাড়া বের হলেই আটক করছি। নিয়ম অমান্য করলে কোনো ছাড় নেই।