কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলায় সম্প্রতি সময়ে কয়েকটি হত্যাকান্ডের পর আবারো আপন চাচার হাতে ভাতিজা সাহেল আহমদ (২২) নির্মম ভাবে খুন হয়েছে। উপজেলার ৪নং সাতঁবাক ইউ.পির জুলাই পীরনগর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় ভাতিজাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন চাচা কুতুব আলী (৫০) ও তার পুত্র আজাদ উদ্দিন (২৫)।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় জুলাই পীরনগর গ্রামের মৃত আমির আলীর পুত্র অটোরিক্সা চালক রাসেল আহমদ (২৫) কয়েক মাস পূর্বে একই ইউ.পির দলাইমাটি গ্রামের সুহাদা বেগম নামে তরুনীকে বাড়ী থেকে প্রেমের সুবাদে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে সিলেট শহরে বসবাস করে আসছিল রাসেল আহমদ। ভাতিজার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি চাচা কুতুব আলী। গত শবে বরাতের দিনে রাসেল আহমদ তার স্ত্রী প্রেমিকা সুহাদা বেগমকে তার বাড়ীতে নিয়ে আসলে এ নিয়ে প্রায়ই চাচা কুতুব আলীর সাথে ঝগড়াঝাটি হতো রাসেল আহমদের পরিবারের লোকজনদের। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বসত বাড়ীতে এ নিয়ে কুতুব আলীর সাথে ভাতিজা রাসেল আহমদ ও তার ভাই নিহত সাহেল আহমদের ঝগড়াঝাটি হলে এক পর্যায়ে চাচা কুতুব আলী ও তার পুত্র আজাদ উদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাহেল আহমদ কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ সাহেল আহমদকে মৃত ঘোষনা করেন। হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ সহ একদল পুলিশ। নিহতের লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরী করে ময়না তন্তদের জন্য সিওমেক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চাচা কুতুব আলী ও তার ছেলে আজাদ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। গ্রামের অনেকে জানিয়েছেন চাচা কুতুব আলী তার মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়ে ছিলেন ভাতিজা রাসেলের কাছে কিন্তু সে প্রেম করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় ভাতিজার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এ নিয়ে গত বুধবার দিনের বেলা চাচা কুতুব আলী ও তার পরিবারের লোকজন রাসেল আহমদের পরিবারের সদস্যদের মারপিট করেন। এ ঘটনায় কুতুব আলীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে রাসেল আহমদ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
