কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা করোনার দুর্যোগকালে দেশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাবিশ্বে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে বলেছেন, দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, দলের তো অভাব নেই। কিন্তু একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের যেকোন সঙ্কট-দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করে। অন্যরা সহযোগিতার নামে কিছু ফটোসেশন করলেও একমাত্র আওয়ামী লীগই দৃশ্যমান মাঠে থেকে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের গৌরবোজ্জ্বল ও সাফল্যের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে দুই ধরনের রাজনীতি আছে। একটি অংশের (বিএনপি) রাজনীতি হলো ক্ষমতায় থেকে অর্থ-সম্পদ বানিয়ে ভোগবিলাস করে, আরেকটি অংশ হচ্ছে আওয়ামী লীগ যারা যেকোন সঙ্কটে মানুষের সেবা করে, মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সেই আদর্শই আমাদের দিয়ে গেছেন। মানবতার সেবায় স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাবিশ্বে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানুষের জন্য নিবেদিত হয়ে তাদের সেবা ও কল্যাণে কাজ করাই হচ্ছে একজন রাজনীতিবিদের বড় কাজ। মানবসেবার এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সংগঠনটির প্রথম সভাপতি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সভার শুরুতেই স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিগত এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং ‘স্বেচ্ছাসেবার এক বছর’ ২০১৯-২০২০ শিরোনামে প্রকাশিত গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের মানুষ যাতে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করে এবং টিকা কেন্দ্রে গিয়ে এনআইডি কার্ড নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার কাজে সহযোগিতা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেখান থেকে পাচ্ছি আমরা করোনার ভ্যাকসিন ক্রয় করছি। এজন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখা আছে, প্রয়োজনে আরও দেব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী যাতে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত দেশে এক কোটি ৮৭ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়ে গেছে। একদম গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত আমরা মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগের মতো রেজিস্ট্রেশন না করলেও টিকা কেন্দ্রে এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেই ভ্যাকসিন দেয়া যাবে। এ ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীরা প্রত্যেক এলাকায় এ ব্যাপারে মানুষকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে করোনার টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতি ছিল। তা অনেকটাই এখন কেটে যাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ এখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ করোনার পরীক্ষা করাতে ভয় পায়, যদি টেস্টে পজিটিভ আসে তবে আশপাশের কেউ আসবে না ইত্যাদি মনে করে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। টেস্ট করে যদি করোনা পজিটিভ আসে তবে ভাল চিকিৎসা নিয়ে দ্রুত সেরে উঠবেন, অন্যকে সংক্রমিত করবেন না। আর সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে পারলে তখন তেমন সমস্যা হবে না। তবে করোনার ভ্যাকসিন যেন সবাই নেয়, অসুস্থতা বোধ করলে যেন পরীক্ষা করায়, এ ব্যাপারে দলের নেতাকর্মীদের জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশ-বিদেশে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের জন্মের পর থেকেই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ছিল। আগে এটির নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, আবদুর রাজ্জাকসহ অন্যরা। এরপর দলের সাবেক নেতাদের সম্পৃক্ত করে ১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠন করি। এ সময় এই সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
এ দিনটি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়াও তাঁর প্রথম সন্তান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্য দোয়া-আশীর্বাদ কামনা করে বলেন, করোনার কারণে প্রায় পৌনে দুই বছর জয়ের সঙ্গে দেখা হয় না। আজকের এই দিনে আমি জয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থাতেও সজীব ওয়াজেদ জয়ের সেমিস্টারের টাকা দিতে না পারায় এমআইটি থেকে তাঁর নাম কেটে দেয়ার আক্ষেপের কথাও ফুটে উঠে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কণ্ঠে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা যে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ সবাই জয়ের (সজীব ওয়াজেদ জয়) অবদান। আজ দেশ ডিজিটালাইজড না হলে ভয়াল এই করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হতো না। দেশের এই সঙ্কটকালে মানুষের সেবা প্রদান, খাদ্য পৌঁছে দেয়া, অসহায় মানুষের কাছে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেয়াসহ প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি বলেই। সব কাজেই আমরা এখন ডিজিটাল ব্যবহার করতে পারছি। আর এর সবই অবদান হচ্ছে জয়ের।
আবেগজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং দুটোতেই গ্রাজুয়েশন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজে খরচ চালাতে কাজ করার পাশাপাশি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করে। এরপর মাস্টার্স করতে এমআইটিতে চান্স পেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়েও তাঁকে তখন সহযোগিতা করতে পারিনি। সেমিস্টারের টাকা দিতে না পারায় এমআইটি থেকে জয়ের নাম কাটা যায়। এ নিয়ে নিজের একটা দুঃখ ও আক্ষেপ ছিল। পরে অনুরোধ করে মাস্টার্স করার জন্য দরখাস্ত করতে বলি এবং জয় হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পায়। সেখান থেকেই সে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করে।
নিজের কম্পিউটার শিক্ষার হাতেখড়িও সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে, উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমি কম্পিউটার শিখেছি জয়ের কাছ থেকে। সে আমাকে এবং আমার বন্ধু বেবী মওদুদকে কম্পিউটার শিখতে হোক ওয়ার্ক দিত, আমরা করতাম। ১৯৯১ সালে জয় যখন ক্লাস এইট কিংবা নাইনে পড়ে, তখন আওয়ামী লীগ প্রথম কম্পিউটার কেনে। এরপর ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা, কী করলে মানুষ কম্পিউটারসহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হবে, মহাকাশে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সবাই জয়ের পরামর্শে আমরা করেছি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বন্দী দশায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মগ্রহণের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে তাঁর মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জয়ের যখন জন্ম হয় তখন আমরা মা-বোন-ভাইসহ সবাই ধানমণ্ডির একটি বাড়িতে বন্দী ছিলাম। সেখানে বিছানাপত্র, আসবাবপত্র কিছুই ছিল না, ফ্লোরে ঘুমাতে হতো। বাইরে পাকিস্তানী বাহিনীর সশস্ত্র প্রহরা। আমাকে হাসপাতালে নেয়ার সময় আমার মাকে সঙ্গে যেতে দেয়া হয়নি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, এত কিছুর পরও সুস্থভাবে সন্তান (সজীব ওয়াজেদ জয়) জন্ম দিতে পেরেছিলাম।
তিনি বলেন, আমি তখন সন্তানসম্ভবা। বাবার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু) নখ কেটে দিচ্ছিলাম। তখন বাবা আমাকে বলল- ‘ভাল করে কেটে দে, আর হয়তো নখ কাটার সুযোগ পাবি না। বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। আর স্বাধীন দেশেই তো ছেলে সন্তান হবে। তার নাম রাখবি ‘জয়’। হাসপাতাল থেকে জয়কে নিয়ে আমরা যখন আবার বন্দীশালায় ফিরে আসি, তখন আমার সন্তানকে ঘিরে একটা সজীবতার সৃষ্টি হয়। তখন আমার মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবই জয়ের নাম রাখেন সজীব।
ওই দুঃসময়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটু ভাল কাপড়-চোপড় পরাতে না পারার বেদনাও ফুটে উঠে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, সন্তান হওয়ার আগে হাসপাতালের কেবিনের সামনেও কড়া প্রহরা বসানো হয়। কবি সুফিয়া কামাল ওই সময় চুপিসারে আমার সঙ্গে দেখা করতে এলে পাহারায় থাকা পাকিস্তানের হানাদাররা তাকে অপমান করে বের করে দেন। আমি তখন তাদের ডেকে ধমক দেই এবং হুমকি দেই মুক্তিযোদ্ধাদের ডেকে এনে শায়েস্তা করব। তখন তারা কিছুটা ভয় পায়।
তিনি বলেন, ওই সময়ে হাসপাতালে আমার জন্য খাবার পর্যন্ত আনতে দেয়া হয়নি। সারাদিন প্রায় অভুক্ত থেকেছি। তখন জয়ের জন্য একটু ভাল কাপড়-চোপড়ও ছিল না। তখন আমার এক বান্ধবী বিনা হক একজন নার্সকে দিয়ে জয়ের জন্য কিছু কাপড় পাঠায়। সেই কাপড় পরিয়েই জয়কে বন্দীশালায় নিয়ে আসি। তখন পাকিস্তানী এক কর্নেল এসে আমাকে বলে সন্তানের নাম কি? আমি বলি জয়। মানে জানতে চাইলে তাকে বলি জয় মানে আনন্দ, জয় মানে ভিক্টরি (বিজয়)। রাগান্বিত ওই কর্নেল মাত্র সাত দিনের বাচ্চা জয়কে গালিগালাজ দিয়ে চলে যায়। কী জঘন্য তাদের (পাকিস্তানী হানাদার) মনোবৃত্তি ছিল? এরকম এক পরিবেশে জয়ের জন্ম হয়। আমি তাঁর জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
করোনার দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাবিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত ও নজির সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাই এই দুঃসময়ের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের পাশাপাশি একটি দলের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার সেবাই নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে, এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোন রাজনৈতিক দলের আছে কিনা জানি না।
এ মহৎ কাজের দৃষ্টান্ত দেশের পাশাপাশি বিদেশের গণমাধ্যমে ভালভাবে তুলে ধরার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনের কোন কিছু চাওয়া-পাওয়ার ছিল না। তাঁর একমাত্র লক্ষ্যই ছিল দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। সেজন্য আজীবন তিনি লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাঁর আদর্শ নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মানবতার সেবার কাজ অব্যাহত রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। পৃথিবীর কম দেশই আছে যেখানে কোন দলের নেতাকর্মীরা এভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই এসব মানবতার কাজের দৃষ্টান্ত দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে বেশি করে প্রচার হওয়া দরকার। মানবতার কল্যাণে কাজ করার এই দৃষ্টান্ত অব্যাহত রাখতে হবে, কেননা এটাই জাতির পিতার আদর্শ, দর্শন। আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব, দেশও করোনামুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।