স্টাফ রিপোর্টার :
মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটের আরও ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সকালে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর এলাকা থেকে তাদের মোগলাবাজার থানাপুলিশ গ্রেফতার করে।
আগে গ্রেফতারকৃত ৪ মোটরসাইকেল চোরকে নিয়ে এ অভিযান চালানো হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা পিপিএম-এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকল সাড়ে ৮টার দিকে এদকল পুলিশ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত মো. জুনেদ মিয়া (৩০) ও মো. জাকারিয়া আহমদ (২৬) নামের দুজনকে গ্রেফতার করে। জুনেদ সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পশ্চিম তিলক গ্রামের তছর উদ্দিনের ছেলে ও জাকারিয়া বিশ্বনাথের পূর্বদশঘর গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে মোগলাবাজার থানার একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোগলাবাজার থানাধীন আলমপুর এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর মো. কয়েছ আহমদ তালুকদার (৩৪) ও তার সহযোগী ইমরান আহমদকে (২৮) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে ডিসকভার ১৩৫ সিসির একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত কয়েছ মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর এলাকার শহিদ আলী তালুকদারের ছেলে ও ইমরান একই থানার আলমপুর এলাকার মৃত মানিক মিয়ার ছেলে।
গ্রেফতারের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানা থেকে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়কারী মাসুম মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। মাসুম ওই থানার পূর্ব কালনিরচর গ্রামের মো. তকবির আলীর ছেলে। মাসুম মিয়াকে গ্রেফতারের পর তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এসময় মাসুম কুখ্যাত চোর মো. কয়েছ আহমদ তালুকদারসহ অন্যান্য চোরদের নিকট হতে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের কথা স্বীকার করে। পরে মাসুম মিয়ার দেওয়া তথ্যমতে ওসমানীনগর থানাধীন কচপুরাই এলাকা হতে জাহেদ আহমদ সুজন (২৬) নামের আরেক চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জাহেদ কচপুরাই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ডিসকভার ১২৫ সিসি মডেলের একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।