কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় এক-তৃতীংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছে। তফসিল ঘোষিত ৬১টি জেলা পরিষদের মধ্যে ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ৬১ জেলার এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ১৬২ জন, সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৯৮৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৭১৫ জন।
চেয়ারম্যার পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন ১৯ জেলায়। এই জেলাগুলো হচ্ছে গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বরগুনা, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরিয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট।
ইসি জানায়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ৬ জন করে প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দুটি জেলায়। জেলা দুটি হলো- কিশোরগঞ্জ ও চাঁদপুর। এছাড়া ১২টি জেলায় দুই জন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রত্যাহার সময় শেষ হলে একক প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আগের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করতেন। কিন্তু সংশোধিত আইনে জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান। আর নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা চেয়ারম্যানদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ একেক জেলা পরিষদের সদস্যের সংখ্যা হবে একেক রকম, সংশোধনের আগে যেটা ২১ জন নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল।