বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সপ্তাহ খানেক এর চলমান সরকারী লকডাউন ও প্রবল বৃষ্টিতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন তাহিরপুরের শ্রমজীবী লোকজন। উপজেলা সদর থেকে শুরু করে গ্রামীণ হাটবাজারে বন্ধ রয়েছে সকল ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান। যানবাহন চলাচল না করায় রাস্তাঘাট হয়ে পড়ছে লোকজন শূন্য। অপর দিকে সপ্তাহ খানেকের বেশী সময় ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণেও অনেক শ্রমজীবী দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন কর্মহীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। দিন আনা দিন খাওয়া লোকজন কোন কাজ কর্ম না করতে পেরে ধার দেনা করে কোন রকম চলছেন। যাদুকাটা নদীর বালু মহাল বন্ধ থাকায় সেই সাথে সীমান্তে ৩টি শুল্ক ষ্টেশন বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ছেন অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক।
উপজেলার উজান তাহিরপুর গ্রামের দিন মজুর ইউনুছ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে ঘর থকে বের হওয়া যাচ্ছে না সাথে লকডাউন তো আছে। এ সময় গুলো তিনি কোন রকম ধার দেনা করে চলছেন বলেও জানান।
তাহিরপুর সদর বাজার চা বিক্রেতা শাহনুর মিয়া বলেন, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাবসা করছি। লকডাউনরে কারণে দোকান বন্ধ। মাস শেষে এনজিও কিস্তির ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সেই সাথে দোকান কর্মচারী, বিদ্যুৎ বিল, ঘর ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। বর্তমানে তা নিয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছি।
যাদুকাটা নদীর বালি পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিক পুরান লাউড়ের গড় গ্রামের হারুন মিয়া বলেন, করোনার কারণে সব কিছু বন্ধ। কোন কাজ কর্ম করতে না পেরে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়ছি।
তাহিরপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের এমন নির্দেশনাকে আমার স্বাগত জানাই। পাশাপাশি তিনি তাও বলেন, দীর্ঘদিন লকডাউন চলমান থাকলে তাদের মত ক্ষুদ্র ব্যবসাীদের অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে।
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির প্রভাব ও লকডাউনে তাহিরপুর উপজেলার সর্বত্র কাজ কর্ম বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া লোকজন কর্মহীন হয়ে বেশী বেকায়দায় পড়েছেন। হত-দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অনেকই সহায়তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন।