কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা। তারা দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে।
বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তারা ধ্বংস করেছে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা বৈঠকে বর্তমানে দেশের রাজনীতির যে প্রেক্ষিক সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ভবিষ্যতে কী কর্মসূচি হওয়া উচিত আর কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে এবং কীভাবে জনগণকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা যেতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হলো এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল অনিশ্চয়তা এবং সহিংসতার দার উন্মুক্ত করা হলো। যার প্রমাণ ১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এদেশে মানুষ জানে না কীভাবে নির্বাচন হয়। তারা জানে না তাদের ভোট দিতে পারবে কী পারবে না। আওয়ামী লীগ অতীতে যে কাজগুলো করেছে তাতে দেশে জনগণ নিশ্চিত এদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু হয় না।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ফখরুল বলেন, তারা আমাদের সমাবেশের আগে তিন দিন আগে থেকেই স্ট্রাইক করে। পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত তারা চেক করতে থাকে। ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগে পুলিশ দিয়ে তারা ১৫ দিন আগে থেকেই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল। বিরোধীদলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না, বাধা দেবে। ভিন্ন মত সহ্য করবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ তাদের কথা বলতেই থাকবে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের যুগ্ম মহাসচিব মো. তফাজ্জল হোসেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু।