কারখানা শ্রমিকদের প্রত্যাশা

6

সরকার করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ তথা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধসহ মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন আরোপ করলেও শিল্প-কারখানা সচল রাখার অনুমতি দিয়েছে জীবন জীবিকা রক্ষার অনিবার্য প্রয়োজনে। তবে সেই সব চালু রাখতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে এবং শ্রমজীবীদের কারখানা ও আবাসনে যাতায়াত ব্যবস্থার মাধ্যমে। সব শিল্প-কারখানা এসব নিয়মকানুন শতভাগ বাস্তবায়ন না করলেও শ্রমজীবীরা নিজেদের প্রয়োজন ও জীবন রক্ষার্থে তা যথাসাধ্য মেনে চলার চেষ্টা করছেন। বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমদানি-রফতানির সুবিধার্থে পণ্য ও কন্টেনার পরিবহনও অবমুক্ত রাখা হয়েছে লকডাউনের কবল থেকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকারের সামনে এর কোন বিকল্প ছিল না। ফলে শিল্প-কারখানার শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাতের কর্মীরা সচল রাখতে পারছেন জীবন-জীবিকা করোনার এই চরম সঙ্কটকালীন সময়েও। আরও আশার কথা এই যে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের আক্রমণে রফতানিমুখী পোশাক খাত প্রবলভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এবারে তা হয়নি। ইতোমধ্যে সরকারী প্রণোদনা পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক খাত। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ওয়াল্ট ডিজনি আট বছর পর বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মিয়ানমার, চীন ও ভারতের পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় জাপান, তুরস্কসহ উন্নত কয়েকটি দেশ হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশের দিকে। তারা এমনকি বাংলাদেশে বিনিয়োগেও আগ্রহ দেখিয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সর্বস্তরের মানুষের চাহিদা বেড়ে যাবে বহুগুণ। লাখ লাখ পোশাক শ্রমিকসহ কোটি কোটি শ্রমজীবীর বেতন-বোনাসের বিষয়টিও জড়িত ওতপ্রোতভাবে। এর জন্য সরকারী প্রণোদনার পাশাপাশি আবশ্যক বেসরকারী উদ্যোগও। সরকার পোশাক খাত, কৃষি, শিল্প সেক্টরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল অর্থের প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধির ধারা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তা সহায়ক হবে নিশ্চয়ই।
পোশাক শিল্প মালিকরা তা দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন নিশ্চয়ই। নগদ প্রণোদনা দেয়ায় প্রবাসী আয়ও যথেষ্ট ইতিবাচক রয়েছে। সরকার গৃহীত নানা পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণাধীন বলা চলে। তবু সতর্ক ও সাবধানতার বিকল্প নেই। সে অবস্থায় যথাযথ সুরক্ষাসহ শিল্প-কারখানা এবং মেগা প্রকল্পগুলো সচল এবং সর্বস্তরের মানুষ উদ্যোগী হলে জীবন-জীবিকা চলতে পারে হাত ধরাধরি করে। সেক্ষেত্রে শিল্প মালিকরা যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা-বোনাস মিটিয়ে দিলে সেটি হবে সবার জন্যই ইতিবাচক ও স্বস্তিদায়ক।সরকার করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ তথা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধসহ মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন আরোপ করলেও শিল্প-কারখানা সচল রাখার অনুমতি দিয়েছে জীবন জীবিকা রক্ষার অনিবার্য প্রয়োজনে। তবে সেই সব চালু রাখতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে এবং শ্রমজীবীদের কারখানা ও আবাসনে যাতায়াত ব্যবস্থার মাধ্যমে। সব শিল্প-কারখানা এসব নিয়মকানুন শতভাগ বাস্তবায়ন না করলেও শ্রমজীবীরা নিজেদের প্রয়োজন ও জীবন রক্ষার্থে তা যথাসাধ্য মেনে চলার চেষ্টা করছেন। বহির্বিশ্বের সঙ্গে আমদানি-রফতানির সুবিধার্থে পণ্য ও কন্টেনার পরিবহনও অবমুক্ত রাখা হয়েছে লকডাউনের কবল থেকে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার স্বার্থে সরকারের সামনে এর কোন বিকল্প ছিল না। ফলে শিল্প-কারখানার শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে প্রধান রফতানি পণ্য পোশাক খাতের কর্মীরা সচল রাখতে পারছেন জীবন-জীবিকা করোনার এই চরম সঙ্কটকালীন সময়েও। আরও আশার কথা এই যে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের আক্রমণে রফতানিমুখী পোশাক খাত প্রবলভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও এবারে তা হয়নি। ইতোমধ্যে সরকারী প্রণোদনা পেয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক খাত। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ওয়াল্ট ডিজনি আট বছর পর বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মিয়ানমার, চীন ও ভারতের পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় জাপান, তুরস্কসহ উন্নত কয়েকটি দেশ হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশের দিকে। তারা এমনকি বাংলাদেশে বিনিয়োগেও আগ্রহ দেখিয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সর্বস্তরের মানুষের চাহিদা বেড়ে যাবে বহুগুণ। লাখ লাখ পোশাক শ্রমিকসহ কোটি কোটি শ্রমজীবীর বেতন-বোনাসের বিষয়টিও জড়িত ওতপ্রোতভাবে। এর জন্য সরকারী প্রণোদনার পাশাপাশি আবশ্যক বেসরকারী উদ্যোগও। সরকার পোশাক খাত, কৃষি, শিল্প সেক্টরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিপুল অর্থের প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধির ধারা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তা সহায়ক হবে নিশ্চয়ই।
পোশাক শিল্প মালিকরা তা দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন নিশ্চয়ই। নগদ প্রণোদনা দেয়ায় প্রবাসী আয়ও যথেষ্ট ইতিবাচক রয়েছে। সরকার গৃহীত নানা পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণাধীন বলা চলে। তবু সতর্ক ও সাবধানতার বিকল্প নেই। সে অবস্থায় যথাযথ সুরক্ষাসহ শিল্প-কারখানা এবং মেগা প্রকল্পগুলো সচল এবং সর্বস্তরের মানুষ উদ্যোগী হলে জীবন-জীবিকা চলতে পারে হাত ধরাধরি করে। সেক্ষেত্রে শিল্প মালিকরা যথাসময়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা-বোনাস মিটিয়ে দিলে সেটি হবে সবার জন্যই ইতিবাচক ও স্বস্তিদায়ক।