শাহ আলম শামীম, কুলাউড়া থেকে :
কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) লাত্থিতে মৃত্যুপথযাত্রী কনষ্টেবল শরাফত আলী (৫৫)। গতকাল বিকেলে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বিকেলে আনুমানিক দুপুর দেড়টায় কনষ্টেবল সরাফত আলী (নং ৩০৯) কুলাউড়া ষ্টেশনের টিকিট কাউন্টার এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় রেলওয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন তার ডিউটি আছে কি-না জানতে চান। কনষ্টেবল সরাফত আলী ডিউটিরত আছেন বলায় উত্তেজিত হয়ে শত শত যাত্রীর সম্মুখে ওসি তাকে চড় থাপ্পড় ও লাথি মারেন এবং অস্ত্র কেড়ে নেন। এসময় আহত হয়ে কনস্টেবল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। জিআরপির অন্য পুলিশরা দ্রুত তাকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু ক্ষুব্ধ ওসি থানা হাজতে কনষ্টেবল শরাফত আলীকে আটক রাখেন। হাজতে থাকাবস্থায় এক পর্যায়ে কনষ্টেবল শরাফত আলী অজ্ঞান হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় দ্রুত তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, আমি ষ্টেশন এলাকায় ডিউটি চেক করছিলাম। তখন কনষ্টেবল শরাফত আলীর ডিউটি ছিল না। আমাকে মিথ্যা কথা বলায় আমি তাকে ধমক দেই। সেখান থেকে থানায় আসার পর তার বুকে ব্যথা করছে বলে জানায়। প্রেসার বেড়ে যায়। তাকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। যা শুনেছেন (মারামারির ঘটনা) মিথ্যা বলে তিনি জানান।