সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ জরুরি সেবার আওতায় ভিসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু রাখার দাবি শিক্ষার্থীদের

12
যুক্তরাজ্যে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহরিয়ান জামান।

স্টাফ রিপোর্টার :
জরুরি সেবার আওয়াতায় নিয়ে এসে যুক্তরাজ্যের ভিসা সেবাদানকারী দুটি প্রতিষ্ঠান আইওএম এবং ভিএফএস গ্লোবাল এর কার্যক্রম চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ও গমনের অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে ালখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহরিয়ার জামান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছি। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করেন যার একটা বড় অংশই যায় সেপ্টেম্বর সেশনে। কোভিড পরিস্থিতির কারনে গত দুই বছর ধরেই ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও তাদের কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছুতে পারছে না।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের সেবাদানকারী দুটি প্রতিষ্ঠান আইওএম এবং ভিএফএস গ্লোবাল অনেকদিন বন্ধ থাকার পর মাস খানেক আগে থেকে আবার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার ফলে ভিএফএস-এ এখন এপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাচ্ছে ২ মাস পর। এমন অবস্থায় যদি আগত লকডাউনে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে জরুরিসেবার আওতাধীন করে কার্যক্রম চালু না রাখা হয় তা হলে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি বলেন, তাদের কার্যক্রম চালু না রাখলে প্রথমত শতশতছাত্র-ছাত্রীদের পাসপোর্ট ভিএফএসএ আটকানো আছে এবং অনেকেই পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। এতে করে অনেকের ভর্তি সেশন মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া প্রতিবছর প্রায় ৯০,০০০ শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যায়, যার ৭০% এরও বেশি যায় সেপ্টেম্বর সেশনে। আগের লকডাউনগুলোর কারণে গত জানুয়ারি এবং মে সেশনের হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের ফাইল জমা দিতে পারেনি। এমন অবস্থায় বর্তমান লকডাউনের কারনে যদি আবারো ভিএফএস বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সমস্যা আরো প্রকট হয়ে দেখা দিবে।
লিখিত বক্তব্য প্রদানকালে ভিসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়ে বেশ কিছু কারণ উল্ল্যেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তুহিন ইবনে খালেক, সুজন আহমেদ, সারোয়ার আহমেদ প্রমুখ।