কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছে সরকার। একদিকে করোনার ঝুঁকি, অন্যদিকে চার কোটি শিক্ষার্থীর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কা। টিকা দিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরানোর একটি চিন্তা ছিল সরকারের। টিকা প্রাপ্তির বিলম্বে আপাতত তাও হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলেও সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সম্মত হচ্ছে না। সবমিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছে সরকার। ছুটি বাড়ানো ছাড়া সরকার এই মুহূর্তে অন্য কোন সিদ্ধান্তের দিকেই যেতে পারছে না।
দ্বিতীয় দফা লকডাউনের পরও পর্যায়ক্রমে সবকিছুই খুলে দেয়া হয়েছে। প্রথম শপিংমল-দোকানপাট, পরে অফিস-আদালত, সব ধরনের যানবাহন। এখন দৃশ্যত শুধু বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই প্রথম লকডাউন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে করোনা সংক্রমণ হ্রাস পেলে অন্য সবকিছুর মতোই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলারও চিন্তা করা হয়। মার্চের শেষ দিকে আবার করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হলে আর খোলা হয়নি। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সরাসরি শিক্ষাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে প্রায় ১৫ মাস ধরে। শহরকেন্দ্রিক কিছু প্রতিষ্ঠান অনলাইনে চালানোর চেষ্টা করলেও মফস্বলের অবস্থা খুবই নাজুক। মাঝে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি পরীক্ষা নেয়া শুরু হলেও তা চলমান রাখা যায়নি। ২০২০ সালের মার্চে দেশ লকডাউনে চলে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। কোন প্রথাগত প্রশিক্ষণ ছাড়াই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইন কার্যক্রমে অংশ নেন। পর্যাপ্ত ডিভাইস, ইন্টারনেট ও অর্থ সঙ্কটের কারণে এ কার্যক্রম প্রথমদিকে অনেক বাধার মুখে পড়ে। তারপরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজধানী কেন্দ্রিক কিছু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চালু রেছে কিছু কিছু পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই বিবেচনায় গ্রামের শিক্ষার্থীদের অবস্থা খুবই নাজুক। গ্রামে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশেরই স্মার্টফোন-ইন্টারনেট সুবিধা নেই। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের রয়েছে অজ্ঞতা। গ্রামাঞ্চলে কাগজেকলমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও বাস্তবে শিক্ষার্থীরা সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত। এসব শিক্ষার্থী এগুচ্ছে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যতের দিকে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরাও মনে করছেন, দীর্ঘ ছুটিতে তাদের সন্তানদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই ক্ষতি তাদের ভবিষ্যত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চাপ রয়েছে শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও। অনেক বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের রুটি-রুজিতে আঘাত হানছে। অন্যদিকে করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে কোন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হলে কিংবা কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের মধ্যে দোটানা এবং অস্বস্তি কাজ করছে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত টানা ১৫ মাস পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সকল র্পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ আগামী ১৩ জুন স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার ঘোষণা দিলেও চলমান লকডাউন বর্ধিত করায় এই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। গত ২৬ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নতুন করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি না হলে সেদিন থেকে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতিতে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে গত ২৯ মে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে চলে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু করার মতো অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা হবে।’ তাছাড়া বিশ্বসংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোন এলাকার সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত রবিবার চলমান লকডাউন আরেক দফা বাড়িয়ে ১৬ জুন পর্যন্ত করা হয়। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে চলছে পৃথক লকডাউন। জেলাগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ কবে খোলা হবে তা নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সকল স্তরের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। অনলাইন ক্লাস চালু থাকলেও সকলের অংশগ্রহণের অভাবে শিক্ষার ঘাটতি নিয়ে বড় হচ্ছে তারা। এসাইনমেন্ট পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হলেও সেটি ফলপ্রসূ হচ্ছে না। সরাসরি পরীক্ষা না হওয়ায় তারা কতটুকু শিখতে পেরেছে বা শিক্ষায় কতটুকু ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া টিভি বা অনলাইন ক্লাসে সবাই সমান সুযোগ পাচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বৈষম্য তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে ‘এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দ্রুত ক্লাসে ফিরতে চায় দেশের ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৭৬ শতাংশ অভিভাবক ও ৭৩ শতাংশ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দ্রুত স্কুল খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ৫৮ শতাংশ শিক্ষক ও ৫২ শতাংশ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে স্কুল খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন। ৮০ শতাংশ এনজিও কর্মকর্তা একই মত দিয়েছেন। গণসাক্ষরতা অভিযানের এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে দূরশিক্ষণ প্রক্রিয়ায় (অনলাইন, টিভি, রেডিও) ক্লাসে অংশ নেয়নি ৬৯.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। দূরশিক্ষণ প্রক্রিয়ার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীর ৫৭.৯ শতাংশ ডিভাইসের অভাবে ক্লাস করতে পারেনি। গ্রাম এলাকায় এই হার ৬৮.৯ শতাংশ। অনলাইন ক্লাস আকর্ষণীয় না হওয়ায় ১৬.৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। ৯৯.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে নিজে নিজে পড়ালেখা করেছে বলে জানায়।
দীর্ঘদিন স্কুল কলেজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারের অনেক সন্তান উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে। অলস সময়ে আসক্ত হচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন গেম এবং নেশায়। জড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নানাবিধ ক্ষতি হলেও তাদের জীবনের নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকায় খুলে দিয়ে কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চায় না সরকার। খোলার পর কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা কোন শিক্ষার্থী মারা গেলে দায় বর্তাবে সরকারের ওপর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেও এটি সত্য যে, সব স্কুল কলেজ সমভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে দুটি সেমিস্টারের ক্লাস-পরীক্ষা, এসাইনমেন্ট শেষ হলেও চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে আছে। ফলে দীর্ঘদিনের সেশনজটে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। কারো আন্দোলনের তোপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সুরক্ষার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে এসএমএস করে জানাচ্ছেন। কিছু মানুষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আন্দোলন করল। অধিকাংশ মানুষ তার বিপরীতে কথা বলছেন। তাই আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়েই টিকা দিয়েই হল-ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে সেশনজট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইন বা অফলাইনে পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এদিকে আগামী ১৩ জুনের মধ্যে চীনের উপহার দেয়া সিনোফার্মের ৬ লাখ ডোজ দেশে আসলেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ রোবেদ আমিন।
কিছু কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে সংক্রমণের হার কম আবার সেখানের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা দূরশিক্ষণে অংশ নিতে পারছে না। প্রথমে এ ধরনের এলাকাগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, যেসব গ্রামে বা এলাকায় করোনার সংক্রমণ নেই সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। পৌরসভা বা উপজেলা সদর বাদ দিয়ে হলেও শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া প্রয়োজন। করোনা সহজে যাবে না এমনটা মেনে নিয়েই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান বলেন, অস্বাভাবিক এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছু উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে হবে। টিকা দেয়ার পাশাপাশি পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে এমন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে যাতে সেটি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সরাসরি পরীক্ষা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে মাস্টার্সের, এরপর স্নাতক চতুর্থ বর্ষ এভাবে ধাপে ধাপে আবাসিক শিক্ষার্থীদের শুধু পরীক্ষা চলাকালীন হলে রাখা যেতে পারে। আবার অনলাইনে পরীক্ষা নেয়াও অসম্ভব। করোনা শুরুর দিকে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা দূরীকরণের কথা বলা হলেও কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। তাই এ্যাসাইনমেন্ট আকারে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়ার মত দেন তিনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত বলে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কথা বলা হলেও প্রক্রিয়াটা এখনও শুরু হয়নি। ভ্যাকসিন দেয়ার যে কার্যক্রম সেটা শুরু করা উচিত। চীন বা রাশিয়া থেকে ভ্যাকসিন আসার পর যত তাড়াতাড়ি দেয়া যায়, তত ভাল। এখন ভ্যাকসিন আসার পরে যদি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করা হবে, তাহলে আরও দেরি হবে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে সংক্রমণ যখন কমে এসেছিল তখন সীমিতভাবে হলেও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া দরকার ছিল। এতে শিক্ষার্থীরা মনে করত যে, সরকার তাদের বিষয়ে ভাবছে। কিন্তু এখন তাদের মধ্যে হতাশার বিষয় হলো সবকিছু চলছে, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। খোলার তারিখ ঘোষণা দিলেও সেটা বারবার পেছানো হচ্ছে। অভিভাবকরাও দুশ্চিন্তায় আছে। তাই স্কুল কলেজ খোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। অন্তত পরীক্ষামূলকভাবে সপ্তাহে এক/দুদিনের জন্য হলেও যেসব জায়গায় লকডাউন চলছে না সেখানে স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়ে মত দেন তিনি।