কুলাউড়ায় বাজার ইজারা নিয়ে ইউএনও’র বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ

21

কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
সমান সমান পে-অর্ডার এবং মাত্র ২ জন ইজারাদার অংশগ্রহণ করেন। অথচ ৫ শতাংশ বেশি দর দিয়ে নিতে চাইলেও আগ্রহী ইজারাদারকে না দিয়ে অন্যজনকে দেয়া হয় বাজার ইজারা। ইজারা প্রদানে নাটকীয়তা ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল লাইছের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ১৪২৬ বাংলা সনের ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে আহ্বান করা হয়। রহস্যময় কারণে অখ্যাত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আহবানকৃত দরপত্র অনুসারে গত ২৬ ফেব্র“য়ারি ৩২ লক্ষ টাকার পে অর্ডার জমাপূর্বক ৯৭ লক্ষ ৬ শত টাকা ইজারা দর উল্লেখ করে মো. নুরুল ইসলাম খান ও নাহিদ হোসেন নামক ২ জন ইজারা পেতে আগ্রহী মহালদার ইজারায় অংশ নেন। দু’টি দরপত্রে কাকতালীয়ভাবে পে-অর্ডার ও ইজারা দর একই পাওয়া যায়।
কুলাউড়া উপজেলা অফিসার মো. আবুল লাইছ পুন:দরপত্র আহ্বান না করে কিংবা লটারী না করে বাজার ইজারা দেন নাহিদ হোসেন নামক মহালদারকে।
এদিকে ইজারায় অংশগ্রহণকারী মহালদার নুরুল ইসলাম খান মঙ্গলবার ৫ মার্চ কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ৫ পার্সেন্ট বেশি দর দিয়ে বাজারটি ইজারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে লিখিত আবেদন করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদনের অনুলিপি দিয়েছেন।
মো. নুরুল ইসলাম খাঁন দাবি করেন, যেহেতু পে অর্ডারও ইজারা মূল্য ২ জনের সমান সমান সেহেতু ইউএনও চাইলে লটারি করে ইজারা দিতে পারতেন। নতুবা বেশি রাজস্ব লাভের জন্য পুন: দরপত্র আহ্বান করতে পারেন। কিন্তু তা না করে তিনি নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল লাইছ জানান, নাহিদ হোসেনের নামে বাজার ইজারা প্রদান করা হয়েছে। তবে রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা যেতে পারে। ইজারা নীতিমালায় ২ জনের পে-অর্ডার কিংবা ইজারা দর সমান হলে প্রথম জনকে ইজারা দেয়া যায় বলে তিনি দাবি করেন।