একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জে বিমানবন্দর হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, একটা এয়ার ট্রিপ কয় ট্যাকা লাগে। ছোট ছোট প্লেন নামবে প্যাসেঞ্জার নিয়ে। তারা টাঙ্গুয়ার হাওর যাবে। মাছ মাংস খাবে। বাড়ি চলে যাবে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে সুনামগঞ্জের নবীনগরে খন্দকার আলকাছ এবং আমিনা হাসপাতাল উদ্বোধনকালে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা সুনামগঞ্জকে রেললাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করব। এ নিয়ে আপনাদের মনে যেন কোনো সন্দেহ না থাকে। সুনামগঞ্জ থেকে মোহনগঞ্জ যাবে রেললাইন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে পাঁচ বছরেই এ সকল কাজ করা সম্ভব। পরিবেশ নিয়ে সরকার চিন্তিত উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেখার হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের বিশাল সম্পদ। এগুলো আমরা ধ্বংস করতে চাই না। কারও বাড়িতে যদি পুকুর থাকে সেগুলো ভরাট করতে নিষেধ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। হাওরের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করবে এমন কোনো পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকার করবে না। অবশ্যই সুনামগঞ্জে রেললাইন হবে।
পরিককল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী দেশগুলো করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রেখে কৌশল করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী বাজেটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসাধরণের মাঝে টিকাকরণ, দারিদ্র বিমোচনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের জন্য সমস্যায় পড়ে গেছিলাম। ভারতের সাথে চুক্তি করা স্বাক্ষর করা, কিন্তু তারা ভ্যাকসিন দিতে পারছে না। তাই আমরা বন্ধু রাষ্ট চীন, রাশিয়াসহ অন্যান্য সোর্স থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছি। ভ্যাকসিন না আশা পর্যন্ত আমাদেরকে সব সময় মাস্ক পড়তে হবে। অযতা গা ঘষাঘষি করা যাবে না। সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রন্থা হচ্ছে সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করা। আমরা করোনাকেও পরাজিত করব।
উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌর মেয়র নাদের বখত, সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন, খন্দকার আলকাছ এন্ড আমিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান আলকাছ্ উদ্দিন খন্দকার, মঞ্জুর খন্দকার, আসাদুজ্জামান সেন্টু, করোনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল, লতিফুর রহমান রাজু, সবুজ কান্তি দাস, নরুল ইসলাম বজলু প্রমুখ।