কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। পাশাপাশি সুস্থ ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী। তাদের ২৩ জন সরকারী হাসপাতালে, ৩ জন বেসরকারী হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩১০ জনে। এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০৪ জন। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারী হিসেবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৫২৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৯ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরমধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবার দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪৮২টি ল্যাবে ১৮ হাজার ২৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৭৭টি নমুনা। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সরকারী ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৭২২টি; বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৫টি। গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের ১৯ জন পুরুষ, আর নারী ৭ জন। তাদের ২৩ জন সরকারী হাসপাতালে, ৩ জন বেসরকারী হাসপাতালে মারা যান। তাদের মধ্যে ১৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ১০ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৩১০ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৯০৩ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪০৭ জন নারী।