কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্বজুড়ে করোনার তা-বে রীতিমতো বিপর্যস্ত জনজীবন। এই অবস্থায় করোনা ঠেকাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দফায় দফায় লকডাউন চললেও সংক্রমণের হাত থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে গণটিকাকরণই হলো একমাত্র উপায়। যার ফলে সংক্রমণের চেন ভাঙতে লকডাউনের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ। তবে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে বয়সের বিধিনিষেধ থাকলেও এবার সে সবের তোয়াক্কা না করে মাত্র ৮ মাস বয়সে করোনার টিকা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল যুক্তরাষ্ট্রের ইউপিস্টেট বাল্ডউইনসভিল এনওয়াইয়ের বাসিন্দা এনজো মিনকোলা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ৮ মাস বয়সী ওই শিশু সন্তানটিকে করোনার ভ্যাকসিন হিসেবে ফাইজার টিকা দেন তার বাবা-মা। যদিও ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেয়ার পর এখনও পর্যন্ত ওই শিশুর শরীরে কোনরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন নেয়ার পর তাদের পুত্র সন্তান নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে এবং খাওয়া-দাওয়া করছে বলে জানিয়েছেন এনজো মিনকোলার বাবা-মা। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত বুধবার থেকেই ফেডারেল সরকার ১২ বছরের কম বয়সীদের করোনার টিকা হিসেবে ফাইজার গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণে অংশ নেয়া শিশুদের মধ্যে ২ এবং ৬ বছর বয়সী শিশু থাকলেও এনজো কোলামিন হলো এখনও পর্যন্ত দেশের সর্বকনিষ্ঠ ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সদস্য। এই বিষয়ে ইউপিস্টেটের পেডিয়াট্রিক এবং সংক্রামক রোগের চিকিৎসক ডাঃ জোসেফ ডোমাশোস্কে জানিয়েছেন, এনজো কোলামিনের বয়স পুরোপুরি ৮ মাস হওয়ার তিন সপ্তাহ আগেই তাকে ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়। এছাড়াও গত বুধবার তাকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে তার টিকা প্রদানের কাজ শেষ করা হয়। তবে এনজো কোলামিন ছাড়াও এই তালিকায় আরও ৫ জন শিশু ছিল। যারা ফাইজারের টিকা নিয়েছেন। যদিও তাদের সবার বয়স এনজোর থেকে অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন ডাঃ জোসেফ ডোমাশোস্কে।