প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে মিলাদ, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ মে) বাদ যোহর হযরত শাহজাল (রহ.) মাজার মসজিদে দোয়া, মিলাদ ও দুস্থদের মাঝে শিরণী বিতরণ করা হয়।
এ সময় জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি বলেন, সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি লাখো মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি সেদিন।
আওয়ামীলীগে সভানেত্রী হিসেবে দীর্ঘ ১৫ বছর নানা লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে যান তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি আগামী দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য সিলেট জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় আল¬াহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলার মাটিতে পা রাখেন। তাঁর নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবার উচিত সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগীতায় এগিয়ে আসা।
এ সময় সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুকন্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু ও ১৫ ই আগষ্টে নিহত সকলে আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
এদিকে রাষ্ট্র নায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সিলেট মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ মে) বাদ যোহর নগরীর বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন, রাষ্ট্র নায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে দীর্ঘ ২১টি বছর এদেশের মানুষের অধিকার আাদয়ের এন্দালন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের রায় কার্যকর ও স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার,আলবদরের রায় কার্যকর নিজেদের টাকায় পদ্মায় সেতু নির্মাণ ও পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার মা উপাধি পান। তিনি বলেন, রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা হচ্ছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার প্রতীক। সিলেট মহানগর যুবলীগ রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীদার বলেন, ‘আল্ল¬াহর অশেষ রহমতে বিদেশে থাকার কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় সৌভাগ্যক্রমে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা প্রাণে বেঁচে যান।
তিনি আরও বলেন রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার প্রতি বাংলার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও অসীম আস্থার কারণে তিনি বার বার দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিস্ময়কর অবদান রেখে চলছেন।’ দেশকে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুবলীগসহ সবাইকে ঐক্যবোধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, আবিদুর রহমান শিপলু, কবির আহমদ শাহজান, আব্দুর রব সায়েম, হুসাইন আহমদ বাবু, সুলতান মাহমুদ সাজু, রঞ্জন দে, আজাদুর রহমান চঞ্চল, রুপম আহমদ, হুসাইন আহমদ, সেবুল আহমদ সাগর, উবায়েত বাসিত সুমন, তোফায়েল আহমদ তারেক, রুহুল আমিন, আজাদ উদ্দিন,শাকারিয়া হোসেন শাকির, ইয়াসিন আহমদ, আব্দুল হাফিজ নুর আলী, আবীর হাসান রানা, আল-মুমিন, টিটু আহমদ, জাকির আহমদ, আমিনুল ইসলাম আমিন, হাফিজুর রহমান, কবির আহমদ, ইসলা উদ্দিন বাবলু, ইশতিয়াক আমহদ পিন্টু, বাপ্পি দাশ, জাবেদ আহমদ,লন্টুগুপ,তারেক আহমদ চৌধুরী,শরীফ আহমদ, অমিত জিৎ প্রমুখ।
এ সময় রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার ও শেখ রেহানার সু-স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু কামনা, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্টে সকল শহীদদের রুহের
মাগফিরাত কামনা করে ও করোনা মহামারি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মহানগর শ্রমিকলীগ : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিকলীগ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ১৭ মে সোমবার বাদ জোহর হযরত শাহজালাল দরগাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক, শ্রম আদালত সিলেট এর শ্রমিক প্রতিনিধি নাজমুল আলম রোমেন, সহ-সভাপতি কয়েস আহমদ, মাওলানা সালাউদ্দিন আকরাম, মোঃ জামাল উদ্দিন (কাউসার জামাল), ফয়েজ আহমদ, এডভোকেট শহিদুল্লাহ তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ তারেক, নুর আহমদ তোফ খান, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির ইসলাম, মোঃ আব্দুল কাইয়ুম জুয়েল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল হোসেন, খলিলুর রহমান, সাকিল তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান আলী, সহ-আইন ও দর কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাজেদ আহমদ, শিক্ষা সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক নেওয়াজ শরীফ রাজু, সহ সম্পাদক জাবের আহমদ শাহেদ তালুকদার, রুহুল আমিন তালুকদার, শামিউল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া, আনোয়ার হোসেন, কার্যকরী সদস্য প্রভাষক রাশেদ আহমদ রিপন, আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মিলাদ শেষে দোয়া মাহফিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎবরণকারী সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। সেদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এসময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান।
এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা নগরীর পুরানলেনস্থ ৫৩নং সমবায় ভবনে ১৭ মে সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম সিলেট জেলা শাখার সভাপতি রুহুল ইসলাম মিঠু’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম মন্ডলের পরিচালনায় ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি বেলাল উদ্দিন চৌধুরী, নাঈম কোরেশি পলাশ, মোঃ হোসেইন কবির, বিশু দেবনাথ, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হাফিজুল ইসলাম লস্কর ও আব্দুর রহমান হিরা, অর্থ সম্পাদক কামাল আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোশারফ হোসেন খান, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক কলামিস্ট মোঃ তাজ উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য ফিরোজ আহমদ, ধ্রুব গৌতম, লেখক মঞ্জুর মোহাম্মদ, সদস্য ফটো সাংবাদিক মীর মোঃ রিয়াজ, জামিল আহমদ, অফিস সহকারী সেলিম আহমদ প্রমুখ।
ভার্চুয়াল সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। বিগত চার দশকে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা লড়াই-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে।
সভায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎবরণকারী সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি