স্টাফ রিপোর্টার :
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিলেটে পুলিশী চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার শেষ হয়েছে দ্বিতীয় লকডাউন। আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আবার তৃতীয় লকডাইন শুরু হলো।
গতকাল বুধবার লকডাউনের ৮ম দিনে সিলেট নগরীতে জনসমাগম ও যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশী ছিল। সকাল বেলা নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বেশী দেখা গেলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুলিশের চেকপোস্ট বসানোর পর পরই তা কিছুটা কমে যায়। সেই সাথে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বাঁশ টানিয়ে চলে পুলিশের অভিযান। তবে জরুরী কাজের জন্য যারা বের হয়েছিলেন তাদের সার্বিক বিষয় তথ্য নিয়ে পুলিশ ছেড়ে দিতে দেখা গেছে। বাহির হওয়ার ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। এছাড়া জরুরী কাজ ছাড়া কেউ রিকশা নিয়ে বের হলে পুলিশ রিক্সা থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিতেও দেখা গেছে।
জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে সিলেট নগরীর রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় সিএনজি অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি ও রিকশা দেখা গেছে। সেই সাথে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশও কঠোর অবস্থান নেয়। যানবাহন আটকে রাস্তায় বের হওয়ার কারণ জানতে চায়। সদুত্তর না পেলেই যাত্রী নামিয়ে দিয়ে মামলা ঠুকে দেয় সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধে। সেই সাথে জরিমানাও করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট পরিচালিত হয়। যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করেছিলেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হয়েছিলেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কোথাও কোথাও তাদেরকে জরিমানাও করা হয়েছে
নগরীর কালিঘাট, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, মদিনা মার্কেট ও আম্বরখানা এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় বুধবার সকাল থেকে জনসমাগম কিছুটা বেশী ছিল। অনেকেই যানবাহন ব্যবহার না করেই পায়ে হেঁটে বাজার করাসহ জরুরী কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়া নগরীর অলি গলিতে ভাসমান পণ্য বিক্রেতাদের তৎপরতা ছিলো আগের ৪ দিনের চেয়ে একটু বেশী। সেই সাথে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণস্থানে হকারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। সরকারের নির্দেশনা না মেনে যারা বের হয়েছে তাদেরকে পুলিশ কোনভাবেই ছাড় দিচ্ছে না। এমনকি তাদেরকে সর্তক করেও দিতে দেখা যায়। গতকাল লকডাউনের ৮ম দিনে মহানগরীর সবকটি কাঁচাবাজার, মুদির দোকান ও ওষুধের দোকান খোলা থাকলেও বিপণীবিতান, মার্কেটসহ সকল ফ্যাশন হাউজ বন্ধ ছিলো।