হাওরে ধান পাকতে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। যার কারণে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে হারবেষ্টার মেশিন দিচ্ছেন। সার, বীজ সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিনা-মূল্যে দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বারবার আমাদের কাছ থেকে হাওরের খবর নিচ্ছেন। হাওরবাসীর উন্নয়নে ধানের পাশাপাশি ভুট্টা, সুর্যমূখী, সরিষা, টমেটো, কাঁচামরিচ চাষ করে কৃষকরা সফলতা পাচ্ছেন। দেশের মানুষ ছিলো সাত কোটি, বর্তমানে ১৮ কোটি, সম্পদও আমাদের অনেক কমেছে। তারপরও কৃষি বিভাগের উন্নত প্রযুক্তির কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আশি ভাগ ধান পাকলেই কেটে ফেলবেন। ধান কাটার কোন সমস্যা নেই। শ্রমিক সংকট গোছাতে প্রশাসন সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। জামালগঞ্জে ধান কেটে কৃষকদের উৎসাহিত করার সময় এ কথাগুলো বলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি।
সোমবার দুপুরে ফেনারবাঁক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের পাগনার হাওরের কৃষক ফজলুল হকের জমিতে ধান কাটেন তিনি।
এর আগে ভীমখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছোট ঘাগটিয়া গ্রামের আবদুল মান্নান তালুকদারের জমিতে ধান কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই ধান কাটা ও নমুনা শস্য কর্তন উৎসব।
পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পাগনার হাওর তীরবর্তী রামপুর গ্রাম সংলগ্ন মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কমিশনার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট অঞ্চল কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো সবিবুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফরিদুল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বীণা রানী তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দি রাজু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রেদোয়ানুল হালিম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো মাশরেফুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার, সাবেক উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি