কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ঢেকাতে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে সেবা সীমিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। কোনো কোনো দূতাবাস এ সময়ে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আবার অনেক দূতাবাসের ভিসা সেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনো কোনো দূতাবাসের অফিস সময় সূচিও কমিয়ে আনা হয়েছে।
লকডাউন চলাকালে ঢাকার ভারত, নেপাল, ফ্রান্স, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, জার্মান, সুইডেন প্রভৃতি দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সীমিত করেছে।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশজুড়ে সব ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
ঢাকার ফ্রান্সের দূতাবাস গত ৪ এপ্রিল থেকে সাধারণ জনগণের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। দূতাবাস জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণের জন্য দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত দূতাবাস বন্ধ থাকবে।
ঢাকার কোরিয়া দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া কঠোর লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন ভিসা ও কন্স্যুলার সেবা পরিচালনা করা হবে।
ঢাকার জাপান দূতাবাস গত ৪ থেকে ১১ এপ্রিল প্রথম দফায় ভিসা বিভাগ বন্ধ রেখেছে। দ্বিতীয় দফায় ১২ এপ্রিল থেকে আবারও ভিসা বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। তবে জরুরি প্রয়োজনে কনস্যুলার বিভাগে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছে দূতাবাস।
লকডাউন চলাকালে ঢাকার নেপাল দূতাবাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সুইডেন দূতাবাসের অভিবাসন বিভাগের সেবা বন্ধ রেখেছে। সুইডেন দূতাবাস জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালে দূতাবাসের অভিবাসন বিভাগ বন্ধ থাকবে।
করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার থাই দূতাবাস ৪ এপ্রিল থেকে কনস্যুলার সেবা সীমিত করেছে। থাই দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকার থাই দূতাবাস কনস্যুলার সেবা সীমিত করেছে। শুধু ১১, ১৮ ও ২৫ এপ্রিল দূতাবাসের কনস্যুলার সেবা সীমিতভাবে চালু থাকবে।
এদিকে ১১ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত জার্মান দূতাবাসের ভিসা বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ভিসা বিভাগ পুনরায় কবে থেকে চালু করা হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।
ঢাকার দূতাবাসগুলোর সূত্র জানায়, যেসব দূতাবাস আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সীমিত করেছে, পরবর্তীতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালে এসব দূতাবাসের সীমিত কার্যক্রমের মেয়াদও বাড়তে পারে।